অনেকদিন ধরে চলছিল এই জল্পনা। ইঙ্গিত ছিলই। অবশেষে তা সত্যি হল। এটিকে মোহনবাগান ছাড়লেন রয় কৃষ্ণা। ফিজির স্ট্রাইকার আগামী মরসুমে কোথায় খেলবেন, তা নিয়ে আলোচনার অন্ত নেই। বেঙ্গালুরু এফসি যাচ্ছেন তিনি? তাঁর পরিবার কী চাইছে? সবুজ-মেরুন জার্সি যে অতীত হতে পারে, তার ইঙ্গিত ছিলই। এ বার সরকারি ভাবে তাতে সিলমোহর দিল এটিকে মোহনবাগানই। অন্যতম সফল স্ট্রাইকার রয় কৃষ্ণা ‘বিদায়’ জানাল বাগান। শুক্রবার বিকেলে টুইট করে ক্লাবের তরফে লেখা হয়, ‘অসংখ্য সুখস্মৃতি দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ, রয়। গুডবাই। ভবিষ্যতের জন্য শুভেচ্ছা রইল।’ ২০১৯ সালে অস্ট্রেলিয়ার এ লিগের টিম ওয়েলিংটন ফোনিক্স থেকে কলকাতায় পা দিয়েছিলেন কৃষ্ণা। এটিকে-কে সে বার আইএসএলে চ্যাম্পিয়নও করেছিলেন। পরের মরসুমে জুড়ে যায় এটিকে এবং মোহনবাগান। সবুজ-মেরুন জার্সিই তখন থেকে প্রিয় হয়ে উঠেছিল তাঁর কাছে। ‘রিমুভ এটিকে’ নিয়ে যতই উষ্মা থাকুক সমর্থকদের, কৃষ্ণা নয়নের মণি হয়ে উঠেছিলেন। তাঁর গোল স্কোরিং এবিলিটির জন্যই বিপক্ষ টিমের কাছেও ত্রাস হয়ে উঠেছিলেন তিনি। ২০১৯-২০ মরসুমে ২১ ম্যাচে ১৫টা গোল করেছিলেন। আইএসএলের সর্বোচ্চ গোলদাতাও ছিলে। পরের মরসুমে ৩৯ ম্যাচে করেছেন ২১টা গোল।
বাগান ছাড়ার পর কৃষ্ণাকে নিয়ে সবচেয়ে বড় প্রশ্ন, কোন ক্লাবে খেলতে পারেন তিনি। ফিজির স্ট্রাইকারকে পেতে আগ্রহী ইস্টবেঙ্গল তাঁকে আইএসএলে লাল-হলুদ জার্সিতে খেলানোর জন্য বড় টাকার প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে। তবে, তিনি উল্টো পারের ক্লাবে নাও খেলতে পারেন। ভারতীয় ফুটবলে কান পাতলে যা শোনা যাচ্ছে, তাতে বেঙ্গালুরু এফসি-তে সই করতে পারেন কৃষ্ণা। বয়স ৩০ হলেও গত তিনটে বছর বিদেশি স্ট্রাইকার হিসেবে দারুণ সফল তিনি। সবচেয়ে বড় কথা হল, টিমম্যান হিসেবেও জনপ্রিয় কৃষ্ণা। আর সেই কারণেই গত কয়েক মরসুম তেমন সাফল্য না পাওয়া বিএফসি তাঁকে পেতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। এমনও শোনা যাচ্ছে, তিনটে বছর এটিকে এবং এটিকে মোহনবাগানে খেলার ফলে অনেক ভারতীয় তারকাই তাঁর ঘনিষ্ঠ বন্ধু হয়ে গিয়েছেন। সেই তালিকায় রয়েছে প্রবীর দাসও। সেই বাঙালি ফুটবলারই নাকি কৃষ্ণাকে বেঙ্গালুরুর ক্লাবে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা নিচ্ছেন। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী মরসুমে বিএফসিতেই খেলতে পারেন তিনি। শুধু তাই নয়, মুম্বই সিটি এফসিরও অফার আছে কৃষ্ণার কাছে।