ত্রিপুরায় চারটি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন। ২৩ জুনের সেই ভোটকে যখন তেইশের সেমিফাইনাল বলা হচ্ছে তখন শাসকদল বিজেপিতে মান-অভিমানের মেলোড্রামা শুরু হয়েছে। যার কেন্দ্রীয় চরিত্রে রয়েছেন মাঝপথে গদিচ্যুত বিপ্লব দেব।
প্রায় এক সপ্তাহ হল বিপ্লব দেব ত্রিপুরায় নেই। এর মধ্যেই গত বুধবার বিজেপি ঘোষণা করেছে, এই চার কেন্দ্রের উপনির্বাচনের দায়িত্বে থাকবেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়। বৃহস্পতিবার কৈলাস আগরতলায় পৌঁছন। তারপর সেখানকার কৃষ্ণনগরে বিজেপি রাজ্য দফতরে নেতাদের নিয়ে বৈঠক করেন। সূত্রের খবর সেই বৈঠকেই ফোনাফুনির নাটক মঞ্চস্থ হয়।
বিপ্লব অনুগামীরা কৈলাসকে বলেন, দ্রুত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে সম্মান দিয়ে রাজ্যে আনা হোক। তিনি ছাড়া এই ভোট সামলানো মুশকিল। তাঁদের কথা শুনে বিপ্লবকে ফোন করেন কৈলাস। কিন্তু একবার, দু’বার, তিনবার, চারবার—ফোন বেজেই যায়। সূত্রের খবর পঞ্চমবার ফোন তোলেন বিপ্লব। তখন কৈলাস তাঁকে বলেন, তিনি যেন দ্রুত রাজ্যে ফেরেন। বিপ্লবকে বলা হয়, ‘আপনাকে বাদ দিয়ে ভোট হবে না।’
বিপ্লবপন্থীরা মনে করছেন, তাঁকে কোণঠাসা করা হচ্ছে। প্রশাসন থেকে সরিয়ে দেওয়ার পর সাংগঠনিক দায়িত্ব না দেওয়ায় তাঁকে একপ্রকার সিলেবাসের বাইরে করে রাখা হয়েছে। তবে গেরুয়া শিবিরের এও আশঙ্কা রয়েছে, এখনই এসব হলে উপনির্বাচনে অন্তর্ঘাত হতে পারে। যা সিপিএমকে সুবিধা করে দিতে পারে। তা হলে তেইশের আগে মোটেই বিজেপির জন্য ভাল হবে না।