নয়া বিতর্কের জন্ম দিল ইডি বা এনফোর্সমেন্ট ডিরোক্টরেট। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিদেশ সফরে নজরদারি চালাতে নাকি আবেদন করেছেন ইডি’র আধিকারিকেরা। কলকাতা হাইকোর্টের মামলায় জিতে শুক্রবারই চোখের চিকিৎসার জন্য কলকাতা থেকে সস্ত্রীক দুবাই গিয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়।
গতকাল বিকালে তাঁরা রওনা দেওয়ার পরে রাতের মধ্যেই তাঁদের সফর ও চিকিৎসাসংক্রান্ত যাবতীয় নথি ও তথ্য কলকাতায় ইডির কার্যালয়ে জমা দিয়েছেন তাঁর আইনজীবী। তারপরেও সূত্রে জানা গিয়েছে, দুবাইয়ে অভিষেক-রুজিরার গতিবিধি ও তাঁদের কার্যকলাপে নজর রাখতে ইডি’র তরফে এদেশের বিদেশমন্ত্রকের মাধ্যমে সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর সরকারকে আবেদন জানিয়েছেন ইডি’র আধিকারিকেরা। আর তা নিয়েই তৈরি হয়েছে নয়া বিতর্ক।
ইডি’র তরফ এই নজরদারির বিষয়টি এখনও সরকারি ভাবে স্বীকার করাও হয়নি, অস্বীকারও করা হয়নি। আর সেই জায়গা থেকেই প্রশ্ন উঠছে এই নজরদারি কেন? ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, যেহেতু কয়লাপাচার কাণ্ডে যেহেতু অভিষেক ও রুজিরাকে ইডি জিজ্ঞাসাবাদ করছে তাই ওই দুইজনের গতিবিধি ও কার্যকলাপের ওপর নজর রাখতে চাইছে ইডি। সেই কারণেই এদেশের বিদেশমন্ত্রক মারফত সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর সরকারকে জানানো হয়েছে। যদিও সেই প্রস্তাবে সংযুক্ত আরব আমিরশাহী রাজি হয়েছে কিনা তা জানা যায়নি। তবে গোটা বিষয়টি নিয়ে যে বিতর্ক তৈরি হয়েছে তাতে এখন সব থেকে বেশি বিদ্ধ হচ্ছে পদ্মশিবির। তৃণমূল সহ বিজেপি বিরোধীদের অভিযোগ, মোদী সরকার যে সবার ওপর নজরদারি চালাতেই বেশি ইচ্ছুক সেটাই অভিষেককাণ্ডে নতুন করে প্রমাণিত হয়ে গিয়েছে। তৃণমূলের সাফ অভিযোগ, ইচ্ছাকৃত ভাবে অভিষেক ও রুজিরাকে হেনস্থা করার পরিকল্পনা নিয়েই বিজেপি থেকে ইডি’র আধিকারিকদের দিয়ে এসব করানো হচ্ছে।