দলের মধ্যে তৃণমূলের চর ঢুকে পড়েছে বলে মন্তব্য করলেন বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার। তাঁর মতে, দলে অনুশাসনের ঘাটতি হচ্ছে, কড়া হাতে ব্যবস্থা নিতে হবে।
কল্যাণী এইমসে অবৈধভাবে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। সেই নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে সিআইডি। জগন্নাথ ছাড়াও আরও এক বিজেপি সাংসদ সহ ৮ পদ্ম শিবিরের নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে।
রানাঘাটে সাংবাদিক সম্মেলন করে জগন্নাথ দাবি করেন, এসএসসি-দুর্নীতির তদন্ত থেকে নজর ঘোরাতে ‘মুর্শিদাবাদের এক দুধেল গাই’-কে (তিনি কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের এম ফিলের এক ছাত্র) দিয়ে তৃণমূল অভিযোগ করিয়েছে। কিন্তু দলের ভিতর থেকেও তো তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে? বিভিন্ন সময়ে ফেসবুকেও তাঁর বিরুদ্ধে নানা কথা পোস্ট করেছেন দলের কর্মীরা।
এই প্রসঙ্গে জগন্নাথ বলেন, ‘এটা দলের অনুশাসনের ঘাটতির জন্য হচ্ছে। যারাই করুক, সে সত্যিকারের তৃণমূলের চর’। জগন্নাথের ব্যাখ্যা, ‘ভারতবর্ষে বা অন্য দেশের লোকের মধ্যেও চরবৃত্তির কাজ চলে। র-এর লোক যেমন থাকে, তেমনই বিভিন্ন অন্য সংস্থার গোয়েন্দা সংস্থার লোকও থাকে। তা দলের মধ্যেও কিছু খোচর, কিছু দালাল থাকে। তৃণমূলের মধ্যেও থাকে। বিজেপির মধ্যেও থাকে। একে অপরকে খবর পাস করে’।
তিনি আরও বলেন, ‘দলের কোনও বরিষ্ঠ কার্যকর্তা হোক, জনপ্রতিনিধি হোক, কেউ যদি ফেসবুক বা সোশ্যাল মিডিয়ায় ছাড়ে, নিশ্চিত ভাবে সে বিজেপির হিতাকাঙ্ক্ষী নয়। সে তৃণমূলের দালাল। সেই শ্রেণির লোককে দল থেকে বহিষ্কার করা বা শাস্তি দেওয়ার ব্যবস্থা করা উচিত। না হলে দলের উন্নতি হয় না’।