ইডির নিষেধাজ্ঞা চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাতে অভিষেকের আবেদন মঞ্জুর করেছিল হাইকোর্ট। তারপর চোখের চিকিৎসার জন্য শুক্রবার দুবাইয়ের উদ্দেশে রওনা হলেন অভিষেক।
১০ তারিখ পর্যন্ত দুবাইয়ে থাকার কথা অভিষেকের। অভিষেক ইডিকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছিলেন, চোখের চিকিৎসার জন্য তাঁকে দুবাই যেতে হবে। এই সময়ের মধ্যে যাতে তাঁকে কয়লা পাচারকাণ্ডের তদন্তের জন্য ডেকে না পাঠায় কেন্দ্রীয় এজেন্সি। অভিষেকের সেই আবেদন খারিজ করে দিয়ে ইডি জানিয়েছিল, কয়লা পাচার কাণ্ডের তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত দেশের বাইরে কোথাও যেতে পারবেন না ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ।
এরপরই বৃহস্পতিবার ইডি-র এই নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আবেদন অভিষেক। মামলার শুনানি চলাকালীন হাইকোর্টের বিচারপতি বিবেক চৌধুরী বলেন, কয়লা পাচার কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত অভিষেক নন। তিনি সন্দেহের তালিকায় রয়েছেন। এফআইআরেও নাম নেই অভিষেকের। ইডি এ বিষয়ে আগেই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। তাছাড়া সুপ্রিম কোর্টও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর স্ত্রী রুজিরার গতিবিধি সম্পর্কে কোনও নির্দেশ দেয়নি। তাই চোখের চিকিৎসা করানোর জন্য অভিষেককে দুবাই যেতেই পারেন।
অভিষেকের বাঁ চোখের নীচের যে ক্ষত তা ইদানিং দগদগে দেখা যাচ্ছে। বোঝাই যাচ্ছিল তাঁর চিকিৎসার প্রয়োজন। এদিন দুবাই উড়ে গেলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক।