প্রকল্প উদ্বোধন বা শিলান্যাস হলেও কেন কার্যকর করা হচ্ছে না, তা নিয়ে প্রশাসনিক সভায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। তার জেরে এবার চরম তৎপরতা নবান্নে। মুখ্যমন্ত্রীর তরফে যতগুলি প্রকল্প উদ্বোধন বা শিলান্যাস হয়েছে, তার স্টেটাস রিপোর্ট তলব করল নবান্ন। সূত্রের খবর, প্রতিটি দফতরের সচিব ও প্রতিটি জেলার জেলাশাসকের থেকে রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর উদ্বোধন ও শিলান্যাস করা প্রকল্পগুলির কী অবস্থা, দ্রুত রাজ্য সরকারের সমন্বয় পোর্টালে আপলোড করারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের দাবি। পাশাপাশি আগামী ৭ জুন এই বিষয় নিয়ে প্রতিটি দফতরের সচিব ও জেলাশাসকদের জরুরি বৈঠক ডেকেছেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী।
সম্প্রতি পুরুলিয়া ও বাঁকুড়ায় প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জেলা প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে বিরক্তি প্রকাশ করেন। রীতিমত বিভিন্ন বিষয়ে তথ্য তুলে ধরে তিনি গলদ দেখিয়ে দেন। সেখানেই তাঁর শিলান্যাস ও উদ্বোধন করা প্রকল্পের বাস্তবায়ন না হওয়া নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন। লাইভ সম্প্রচারে সেই ছবি তুলে ধরেন মুখ্যসচিব-সহ শীর্ষ আধিকারিকদের সামনে। তার জেরেই এবার আধিকারিকদের মধ্যে তুমুল তৎপরতা দেখা যাচ্ছে নবান্নে।
দক্ষিণবঙ্গের দুই জেলার সফর সেরে বুধবারই কলকাতায় ফিরেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নবান্ন থেকে বড় ঝাঁকুনি। একইসঙ্গে ২৪ জন আমলার রদবদল করেছেন তিনি। এর মধ্যে ৯ জন জেলাশাসক। বদল করা হয়েছে পুরুলিয়ার সেই জেলাশাসক রাহুল মজুমদারকে, প্রশাসনিক বৈঠকে যাঁর বিরুদ্ধে সরাসরি বিরক্তি প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। একইসঙ্গে স্টেটাস রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে সেইসব প্রকল্পের, গত ১১ বছরে তৃণমূল সরকারের জমানায় যার উদ্বোধন বা শিলান্যাস করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।