শুক্রবার প্রকাশিত হল চলতি বছরের মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফল। এবার পরীক্ষা শেষের ৭৯ দিনের মাথায় ফল প্রকাশ করল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। ফল বেরতেই দেখা যায় প্রতিবারের মত এবারও মেধাতালিকায় জেলারই জয়জয়কার। এ বছর হয়েছেন যুগ্মভাবে প্রথম বাঁকুড়ার রামকৃষ্ণ মিশন হাইস্কুলের অর্ণব ঘড়াই ও পূ্র্ব বর্ধমানের রৌণক মণ্ডল। তাঁদের প্রাপ্ত নম্বর ৬৯৩। দ্বিতীয় স্থানেও দুই পরীক্ষার্থী। যুগ্মভাবে দ্বিতীয় হয়েছে মালদহের কৌশিকী সরকার ও ঘাটালের রৌণক মণ্ডল। যদিও প্রথম ও দ্বিতীয় স্থানাধিকারী রৌণক মণ্ডল এক নয়। কেবল নামের মিল রয়েছে দুই রৌণকের। দু’ জন দুই জেলার পরীক্ষার্থী। তৃতীয় স্থানে আসানসোলের অনন্যা দাশগুপ্ত ও পূর্ব মেদিনীপুরের দেবশিখা প্রধান।
প্রসঙ্গত, যুগ্ম দ্বিতীয় মালদার মেয়ে কৌশিকী-ই মাধ্যমিকে রাজ্যে মেয়েদের মধ্যে প্রথম। মালদার গাজোল আদর্শ বাণী বিদ্যালয়ের ছাত্রী তিনি। শুক্রবার মাধ্যমিকের রেজাল্ট বেরতেই মেয়ের সাফল্যে খুশির জোয়ার সরকার বাড়িতে। খুশিতে ভাসছেন সবাই। মেয়েকে মিষ্টিমুখ করাতে দেখা গেল মা ও বাবাকে। কৌশিকীর সাফল্যে খুশি স্কুলের টিচাররাও। কৌশিকীর প্রাপ্ত নম্বর ৬৯২। জানা গিয়েছে, কৌশিকীর বাবা-মা দুজনেই শিক্ষকতার সঙ্গেই যুক্ত। বাবা মিলন কান্তি সরকার গাজোল আলাল হাইস্কুলের শিক্ষক। আর মা চন্দ্রিকা লাহা সরকার গাজোলের মেহেন্দিপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা।
গাজোলের বিধানপল্লির বাসিন্দা কৌশিকী বলেন, ‘এই ফলাফলে খুশি। তবে এমন ফলাফল হবে ভাবিনি। স্কুলের শিক্ষকেরা সবাই সাহায্য করেছেন। চিকিৎসক হওয়ার ইচ্ছা রয়েছে। ছোট থেকেই চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন দেখেছি। দাবা খেলতে ভালবাসি। অলিম্পিকের ভক্ত আমি। পছন্দের ক্রিকেটার মিতালি রাজ ও রোহিত শর্মা। ফেভারিট লেখক শরৎচন্দ্র।’ একই নম্বর পেয়ে দ্বিতীয় হয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুরের রৌণক মন্ডলও। ঘাটাল বিদ্যাসাগর হাইস্কুলের কৃতী ছাত্র রৌণক জানিয়েছে, ‘এমনিতে প্রতিদিন নিয়মমতো পড়াশোনা করেছি। পরীক্ষার আগে সেই সময়টা ছিল দিনে ৮-৯ ঘণ্টা।’ পড়াশোনার পাশাপাশি আঁকতেও ভালো লাগে ফুটবল পাগল রৌণকের। ভবিষ্যতে রৌণকের লক্ষ্য ভাল আইনজীবী হওয়া।