নেই কোনো সুরাহা! অব্যাহত দেশবাসীদের দুর্ভোগ। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে দাম বেড়েছে জ্বালানির। মূল্যবৃদ্ধি রান্নার গ্যাসেরও। অথচ, আন্তর্জাতিক বাজারে এলপিজি উৎপাদনের খরচ গত এপ্রিল মাস থেকেই নিম্নমুখী। রান্নার গ্যাস তৈরি করতে যে দুই উপাদান লাগে(প্রোপেন ও বিউটেন), সেই দুই রাসায়নিকের দাম কমেছে প্রায় ২০০ ডলার। কিন্তু আন্তর্জাতিক বাজারের এই পরিস্থিতির কোনও প্রভাবই পড়েনি আম জনতার রান্নার গ্যাসের দরে। যার জেরে এখনও সমস্যায় মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত শ্রেণী।
উল্লেখ্য, আন্তর্জাতিক বাজারের তথ্য অনুযায়ী গত মে মাসে টন পিছু প্রোপেনের দর ছিল ৮৫০ ডলার। এপ্রিলের তুলনায় ৯০ ডলার কম। আবার প্রতি টন বিউটেনের দাম ৮৬০ ডলার ছিল মে’তে। আগের মাসের তুলনায় ১০০ ডলার কম। তেল কর্তাদের ব্যাখ্যা, দুই রাসায়নিকের দর ১০০ ডলার হ্রাসের অর্থ সিলিন্ডার প্রায় ১০০ টাকা সস্তা হওয়া। সেই হিসেবে চলতি মাসে এলপিজির দাম কমে যাওয়া স্বাভাবিক। কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি। বরং মে’তে পরপর দু-বার দাম বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই জনগণের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে। সাধারণ মানুষকে আর্থিক সুরাহা না দিয়ে নরেন্দ্র মোদী সরকার মুনাফা বাড়াতেই ব্যস্ত, এমন অভিযোগ সরব বিরোধীরা। পাশাপাশি, আগামী দিনে উজ্জ্বলা যোজনার ছাড়া অন্য কোনও এলপিজি গ্রাহককে মোদী সরকার ভর্তুকির টাকা দেবে না, এমনটাই খবর নর্থ ব্লক সূত্রে। যা ঘিরে তুঙ্গে বির্তক।