২০১৯ সালের ১১ ডিসেম্বর সংসদে পাস হয়েছিল নাগরিকত্ব (সংশোধনী) আইন, ২০১৯। কিন্তু এখনও তা কার্যকর করা হয়নি। তবে গত মাসেক কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ শিলিগুড়িতে এসে জানান, করোনা মহামারী শেষ হয়ে গেলেই নাগরিকত্ব আইনটি গোটা দেশে কার্যকর করা হবে। কিন্তু কেরালায় বিতর্কিত নাগরিকত্ব (সংশোধনী) আইন বাস্তবায়ন করা হবে না বলে বৃহস্পতিবার স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও বারবারই এই কথাই বলেছেন।
কেরালায় বিজয়ন সরকারের প্রথম বার্ষিকী উদযাপনের সমাপ্তি উপলক্ষ্যে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দিতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিষয়ে সরকারের একটি স্পষ্ট অবস্থান রয়েছে। এটি অব্যাহত থাকবে।’ বিজয়ন বলেন, ‘আমাদের দেশ ভারতের সংবিধানে উল্লেখিত ধর্মনিরপেক্ষতার নীতিতে কাজ করে। আজকাল ধর্মনিরপেক্ষতাকে ধ্বংস করার চেষ্টা করা হচ্ছে। একটি নির্দিষ্ট গোষ্ঠী এই নিয়ে খুব উদ্বিগ্ন। সাম্প্রতিক একটি ঘটনায় একটি গোষ্ঠী মানুষের ধর্মের ভিত্তিতে নাগরিকত্ব নির্ধারণ করছিল। কেরালা সরকার এই ঘটনার বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে।’