সারা দেশে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। মঙ্গলবার চিরঘুমের দেশে পাড়ি দিয়েছেন দেশের বিখ্যাত সঙ্গীতশিল্পী কেকে। তাঁর এহেন আকস্মিক মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ সবাই। কিন্তু এমন বিষাদের আবহেও ঘৃণ্য অভ্যাসের বাইরে বেরিয়ে আসতে পারছে না রাজ্যের বিরোধী দলগুলি। যথারীতি জনপ্রিয় এই সঙ্গীতশিল্পীর মৃত্যুর জন্য রাজ্য সরকারকে দোষারোপ করতে শুরু করে দিয়েছে তারা। যেমন, বঙ্গ বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য সংবাদমাধ্যমের কাছে বলেন, “প্রেক্ষাগৃহে যেখানে ৩,০০০ জন মানুষ বসতে পারে সেখানে কেকে-র অনুষ্ঠানে দর্শক সংখ্যা ছিল প্রায় ৭,০০০। তিনি প্রায় তাঁর ভক্তদের ভিড়ে বন্দি হয়েগিয়েছিলেন, যার অর্থ একজন ভিআইপি-র নিরাপত্তা ব্যবস্থায় খামতি ছিল।” প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীই ট্যুইটারে লেখেন, “গায়ক কেকে-র দুঃখজনক মৃত্যুর পিছনে পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত দাবি করছি।” তিনি আরও বলেন, মঙ্গলবার নজরুল মঞ্চে যে পরিবেশ ছিল তা নিয়ে বিভিন্ন অস্বস্তিকর প্রশ্ন উঠতে পারে। যার মধ্যে উদ্যোক্তাদের সমালোনামূলক অব্যবস্থাপনাও শিল্পীর মৃত্যুর কারণ হতে পারে।
উল্লেখ্য, গত ৩১শে মে মঙ্গলবার নজরুল মঞ্চে বিধাননগর স্যার গুরুদাস মহাবিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের অনুষ্ঠানে মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটে। ঘটনায় তৃণমূল ছাত্র পরিষদকে আক্রমণ করেছে এসএফআই। বিরোধীদের এই ধরণের বক্তব্যের জবাব কড়াভাবে দেওয়া হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে। দলের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, “বিজেপি তাদের শকুনের রাজনীতি বন্ধ করুক এবং এই দুর্ভাগ্যজনক মৃত্যু নিয়ে তারা রাজনীতি বন্ধ করুক।” তিনি আরও বলেন, “তাঁর মৃত্যু সত্যিই দুর্ভাগ্যজনক এবং দুঃখজনক। কিন্তু বিজেপি এই মৃত্যুকে ঘিরে যা করছে তা নতুন কিছু নয়। গেরুয়াশিবির তাদের শকুন মার্কা রাজনীতি বন্ধ করুন এবং মৃত্যু নিয়ে রাজনীতি করা বন্ধ করুক। আমরা এতটুকুও অবাক হব না যদি এখন বিজেপি দাবি করে কেকে তাদের দলের নেতা।” এদিকে কেকে-র মর্মান্তিক মৃত্যুর খবরে শোকস্তব্ধ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচী কাটছাট করে বুধবার সকালেই কলকাতায় ফিরে এসেছেন। রাজ্য সরকারের তরফে প্রয়াত সঙ্গীতশিল্পীকে গান স্যালুট দেওয়া হয় রবীন্দ্রসদন চত্বরে।