বাংলার বিধানসভা ভোটে বিজেপি-কে পর্যুদস্ত করে ২০২৪-এর লোকসভা ভোটের আগে প্রধান বিরোধী মুখ হিসেবে উঠে আসছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইতিমধ্যেই বাংলার গণ্ডি ছাড়িয়ে ত্রিপুরা, গোয়া, হরিয়ানা, মেঘালয়ের মতো রাজ্যে রীতিমতো কোমর বেঁধে নেমেছে তৃণমূল। অন্যদল, বিশেষত কংগ্রেসকে ভেঙে দেশের বিভিন্ন রাজ্যে সংগঠন গড়ে তুলছে এ রাজ্যের শাসক দল। পাশাপাশি রয়েছে দেশের বিশিষ্টজনদের একটা বড় অংশের সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠতা।
গত বছরেই জাভেদ আখতারকে ‘খেলা হবে’ নিয়ে গান লেখার প্রস্তাব দিয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলা থেকে দিল্লিতে পৌঁছে গিয়েছে তৃণমূলের ‘খেলা হবে’ স্লোগান। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিল্লি সফরের মধ্যেই গতবার সংসদেও সেই স্লোগান শোনা যায়। ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনের সেই স্লোগান নিয়ে গান লেখার জন্য, গীতিকার জাভেদ আখতারকে অনুরোধ জানিয়েছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। এ দিন বাঁকুড়ায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখেও শোনা গেল ‘খেলা হবে’ স্লোগান। বাঁকুড়ার সভা থেকে তিনি বলেন, ‘খেলা হবে। আবার খেলা হবে’।
উৎসাহীত তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা বলছেন হয়ে যাক খেলা। গণতন্ত্রের খেলা। রাজনীতির খেলা। সেই খেলায় বিজেপি সঙ্গে নিয়ে নিক রাজ্যে বাম-কংগ্রেসকে। জঙ্গলমহল সফরে রাজ্যের বাম-কংগ্রেস-বিজেপিকে তিনি জগাই-মাধাই-গদাই বলে কটাক্ষ করেন। এর আগেও তিনি বলেছিলেন খেলা হোক ব্রিগেডে। আর তিনি থাকবেন গোলরক্ষকের ভূমিকায়। দেখা যাবে সবাই মিলে কটা গোল দিতে পারে।
তিনি বলেছিলেন, ‘তৃণমূল এখন মহীরুহ। পাথরে পেরেক পুঁততে গেলে যেমন ভেঙে যায়, ঠিক তেমনই পরিস্থিতি তৈরি হবে তৃণমূলকে সরাতে গেলে। সব থেকে আগে খেলা হবে স্লোগান উঠেছিল ওপার বাংলায়। তারপর দিন কয়েকআগে তুলেছিলেন তৃণমূল নেতারা। যা নিয়ে স্লোগানও তৈরি করে ফেলে যুব তৃণমূলের নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য। যা ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। এরপর বিজেপির তরফেও পাল্টা জবাব দেওয়া হয়েছিল। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের গলায় ফের খেলা হবে স্লোগান শুনে খুশি কর্মীরা৷