প্রয়াত দেশের অন্যতম সেরা সঙ্গীতশিল্পী কৃষ্ণকুমার কুন্নত ওরফে কেকে। ৯০ দশক থেকে শুরু করে একেবারে এই বর্তমান সময় পর্যন্ত যাঁর ছিল অনাবীল যাতায়াত। সেই প্রানোচ্ছ্বল, সদা হাস্যময় এক অদ্ভুত মানুষ চলে গেলেন সঙ্গীতের মঞ্চ থেকেই। নজরুল মঞ্চে মঙ্গলবার সন্ধ্যায়ও চুটিয়ে গান করেছেন তিনি। কিন্তু তার পরেই ছন্দপতন। কলেজ ফেস্টে গান গেয়ে মাতিয়ে দিয়েছিলেন তিনি৷ তারপর হঠাৎ অসুস্থ হওয়ায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে৷ সেখানেই মৃত বলে ঘোষণা করা হয়৷
তাঁর এই মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যেপাধ্যায়৷ বুধবার সকালে ট্যুইটে মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, সঙ্গীতশিল্পী কেকে-র অসময় মৃত্যুতে খুবই মর্মাহত৷ এভাবে তাঁর হঠাৎ মৃত্যু মেনে নেওয়া যায় না৷ গতকাল রাত থেকে আমার সহকর্মীরা সব রকমের ব্যবস্থা নিয়েছে তাঁর পরিবারের পাশে থাকতে, তাঁদের সাহায্য করতে৷ কেকে-র অকালপ্রয়াণে আমি গভীর শোকাহত৷
কেকে মঙ্গলবার অনুষ্ঠান করছিলেন কলকাতার মঞ্চে। জানা গিয়েছে নজরুল মঞ্চে অনুষ্ঠানের মধ্যেই অসুস্থ বোধ করছিলেন তিনি। কেকে-র প্রয়াণে নিউ মার্কেট থানায় অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু হয়েছে ৷ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আগেই মৃত্যু হয় কেকে-র ৷ সম্ভবত হোটেল রুমে পড়ে যান তিনি ৷ কারণ ডান দিকের ভ্রু, ঠোঁটে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে কেকে-র ৷
অথচ নজরুল মঞ্চে অনুষ্ঠানের শুরু থেকে শেষপর্যন্ত যথেষ্ট চনমনে মেজাজেই দেখিয়েছিল কেকে-কে ৷ মাঝে মধ্যেই তাঁকে ঘাম মুছতে দেখা গিয়েছে৷ পাশাপাশি টেবিলের নীচে রাখা জলের বোতল থেকে জল খেতে দেখা যায় জনপ্রিয় সঙ্গীত শিল্পীকে৷ তীব্র গরমে তিনি অস্বস্তি বোধ করছিলেন, তা স্পষ্টই বোঝা গিয়েছিল৷ প্রচণ্ড গরম… এমনটা বলতেও শোনা যায় তাঁকে৷ ইশারায় মঞ্চের উপরের আলোগুলো দেখিয়ে বললেন, ‘নিভিয়ে দাও।’ কিন্তু অনুষ্ঠান শেষেই যে এমন খবর শোনা যাবে, দুঃস্বপ্নেও কেউ ভাবেননি৷