নজরুল মঞ্চে অনুষ্ঠান চলাকালীন আচমকাই অসুস্থ বোধ করেন কেকে। তারপর হোটেল থেকে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। কীভাবে সম্ভব? এই কিছুক্ষণ আগে একটা মানুষ দাপিয়ে বেড়াচ্ছিল গোটা স্টেজ। পরক্ষণেই জানা যাচ্ছে সে আর নেই। গোটা বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ড তন্ন তন্ন করে খুঁজলেও তাঁকে আর পাওয়া যাবে না। কলকাতা পুলিশের ৮ সদস্যের ফরেন্সিক টিম বুধবার বেলায় পৌঁছে গেল গ্র্যান্ড হোটেলে। কলকাতায় গাইতে এসে সেখানেই থাকছিলেন কেকে। হোটেলের ম্যানেজার, কর্মচারীদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। রেকর্ড করা হচ্ছে তাঁদের বয়ান।
কেকে-র মৃত্যুর পর নিউমার্কেট থানায় অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করা হয়েছে। সেই মতো তদন্ত শুরু করেছে কলকাতা পুলিশ। শারীরিক অসুস্থতার কারণেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে কিনা, এর পিছনে অন্য কোনও কারণ আছে কিনা সবটাই খতিয়ে দেখা হবে। হোটেলের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ ভাল করে খতিয়ে দেখবে পুলিশ। কেকে-র দেহ ময়নাতদন্তের জন্য এসএসকেএম হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। দেহ মুম্বই নিয়ে যেতে এসেছেন কেকে-র স্ত্রী জ্যোতি এবং ছেলে নকুল।
কেকে-র মৃত্যুর তদন্ত করতে জয়েন্ট সিপি ক্রাইম মুরলিধর শর্মা এবং ডিসি সেন্ট্রাল ভূপেশ কুমার গ্র্যান্ড হোটেলে গিয়েছেন। তদন্ত পরিচালনা করছেন তাঁরা।