কলকাতায় একটি কলেজ ফেস্টে গান গাইতে এসেছিলেন কে কে। নজরুল মঞ্চই হল তাঁর শেষ পথ। ৯০এর দশক থেকে প্রত্যেকটি মানুষের মধ্যে ঢেউ তুলেছেন তিনি। তাঁকে এভাবে আলভিদা বলতে হবে কে জানত! মৃত্যুর খবরে কলকাতায় এসে পৌঁছলেন কে কে-র স্ত্রী জ্যোতি কৃষ্ণ এবং ছেলে নকুল। প্রয়াত শিল্পীর দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের পরই দেহ নিয়ে মুম্বই ফিরে যাবেন তাঁরা। এদিন সকালের প্রথম বিমানে চেপেই কলকাতায় চলে এসেছেন জ্যোতি আর নকুল। কে কে-র দীর্ঘ ৩১ বছরের জীবনসঙ্গী জ্যোতি। ১৯৯১ সালে তাঁদের বিয়ে হয়। মঙ্গলবার রাতেই তিনি দুঃসংবাদ পেয়েছিলেন। সকাল সকাল কলকাতায় এসে পৌঁছেছেন ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে।
কলকাতায় একটি কলেজ ফেস্টে গান গাইতে এসেছিলেন কে কে। নজরুল মঞ্চে অনুষ্ঠান হয়। তখন থেকেই তিনি শারীরিক অসুস্থতা বোধ করছিলেন। অনুষ্ঠান শেষ করে হোটেলে ফেরার পর অসুস্থতা বাড়ে। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। মনে করা হচ্ছে, ম্যাসিভ হার্ট অ্যাটাক হয়েছিল কে কে-র। আর তাতেই ঘটল এই অকাল প্রয়াণ। সকাল ৯টা নাগাদ তড়িঘড়ি তাঁদের বিমান ছুঁয়েছে কলকাতার মাটি। বিমানবন্দর থেকে তাঁরা গিয়েছেন সিএমআরআই হাসপাতালে। সেখানেই গতকাল রাতে কেকে-কে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। ওদিকে কে কে-র মৃত্যুতে কলকাতার নিউমার্কেট থানায় অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করা হয়েছে। পুলিশ সেই মতো তদন্তও শুরু করেছে। এসএসকেএম হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে কে কে-র দেহ।