সোমবার দুপুরে প্রকাশিত হয়েছে সর্বভারতীয় সিভিল সার্ভিস পরীক্ষার চূড়ান্ত ফলাফল। ইউপিএসসি-র চূড়ান্ত ফলাফলে অভাবনীয় সাফল্য মেয়েদের। ইউনিয়ন পাবলিক সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষার চূড়ান্ত ফলাফলে কার্যত অভাবনীয় সাফল্য মেয়েদের। প্রথম চারটি স্থানেই রয়েছে মেয়েরা। প্রথম হয়েছেন শ্রুতি শর্মা। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন অঙ্কিতা আগরওয়াল। তৃতীয়স্থান পেয়েছেন গামিনী সিংলা। আর চতুর্থস্থানে রয়েছেন ঐশ্বর্য বর্মা। পঞ্চমস্থানে রয়েছেন উৎকর্ষ দ্বিবেদী। বঙ্গ তনয়াদের এই অনবদ্য সাফল্যের পর বাঁকুড়ায় জেলা প্রশাসনিক বৈঠকে বসে রাজ্য থেকে কীভাবে আরও বেশি সংখ্যায় সরকারি আমলা তৈরি করা যায়, তার উপায় বাতলে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রশাসনিক বৈঠক থেকে বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সঙ্গে কথা বলছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। জেলার পড়ুয়াদের কোন কোন বিষয়ের দিকে বেশি আগ্রহ সেই সব নিয়ে খোঁজখবর নিচ্ছিলেন।
সেই কথোপকথন থেকেই উঠে আসে, জেলার পড়ুয়াদের বিজ্ঞানে খুব আগ্রহ রয়েছে। কিন্তু সমস্যা হল, তাঁরা ইংরেজি ভাল লিখতে পারেন। তবে বলতে গেলে সমস্যা হয়। সেই সমস্যা কীভাবে সমাধান করা যায়, তারই উপায় এবার বাতলে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যে পড়ুয়াদের মধ্যে অনেকেরই এই সমস্যা রয়েছে। বিশেষ করে যাঁরা বাংলা মাধ্যমে পড়াশোনা করেন, তাঁদের মধ্যে এই ধরনের সমস্যা একটু বেশি দেখা যায়। পড়াশোনায় খুব ভাল, ইংরেজি দুর্দান্ত লিখতে পারেন। কিন্তু ইংরেজিতে কথা বলার অভ্যেস নেই। তাই ইংরেজিতে ভাল হওয়া সত্বেও কথা বলতে গেলে একটু জড়সড় বোধ করেন। প্রতিটি জেলায় যে ছেলেমেয়েরা পড়াশোনায় খুব ভাল, তাঁদের আইএএস-আইপিএস তৈরি করার জন্য জেলাশাসক ও পুলিশ সুপাররা নিজে থেকে যাতে উদ্যোগী হন, সেই পরামর্শ দেন মমতা।
সেই সব মেধাবী পড়ুয়াদের ইংরেজি শেখানোর নির্দেশ দিলেন তিনি। বললেন, “যে সব ছেলেমেয়ে ইংরেজি শিখতে চায়, তাঁদের ইংরেজি শেখাও না। আমি তো ডাব্লিউবিসিএস, ডাব্লিউবিপিএসদের সিঙ্গাপুরে পাঠাই, লন্ডনে পাঠাই।” বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের উদ্দেশ্যে তাঁর বার্তা, “আপনারা স্পেশাল কোচিং ক্লাস করুন। আইএএস. আইপিএস কোচিংও শুরু করুন। দরকার হলে সল্টলেকে আমাদের যেটি আছে, সেটির সঙ্গে প্যাচ আপ করে দেব।” ইউপিএসসিতে মেধাতালিকায় দ্বিতীয় হওয়া বঙ্গতনয়ার কথাও উঠে আসে মমতার কথায়। বললেন, “সল্টলেক থেকে গতকাল আইএএস হয়েছে। এই নতুন, সবে শুরু হয়েছে। আসছে বার আরও বেশি হবে। বাঁকুড়ার ছেলেমেয়েরা পড়াশোনায় খুব ভাল। ওরা খুব মেধাবী। ওরা সুযোগ পেয়ে যাবে।” প্রয়োজনে অবসরপ্রাপ্ত আমলাদের ডেকেও ক্লাস করানোর পরামর্শ দেন মমতা।