ত্রিপুরায় ভোটের আগে ফের বিতর্কের কেন্দ্রে শাসকদল বিজেপি। আগামী জুনেই সে রাজ্যে বিধানসভার উপনির্বাচন। তার আগেই মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে উঠল নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগ। অভিযোগ, নির্বাচনী বিধি জারি হয়ে যাওয়ার পরও সরকারি গাড়ি নিয়ে জেলা সফরে যাচ্ছেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহাও। এ নিয়ে প্রতিবাদে সরব হয়েছে তৃণমূল। নির্বাচন কমিশনে অভিযোগও দায়ের করে তারা। তার পরই দ্রুত ব্যবস্থা নিয়েছে কমিশন। মুখ্যমন্ত্রীর সচিবকে চিঠি দিয়ে ব্যাখ্যা তলব করা হয়েছে। ২৩শে জুন ত্রিপুরার ৪টি বিধানসভা আসনে উপনির্বাচন। ইতিমধ্যে সে রাজ্যে আদর্শ নির্বাচনী বিধি জারি হয়েছে। ভোটে লড়ছেন সদস্য মুখ্যমন্ত্রী পদে বসা ডাঃ মানিক সাহাও। অভিযোগ, তিনি সরকারি গাড়ি-সুবিধা নিয়ে ভোটপ্রচারে গিয়েছেন। এর পরই ত্রিপুরার প্রদেশ তৃণমূলের তরফে টুইট করা হয়। সেখানে লেখা হয়েছে, “মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী, আইনের ঊর্ধ্বে কেউ নন! নির্বাচনবিধি কার্যকর হওয়ার পর সরকারি কাজের বাহানায় সরকারি গাড়ি ব্যবহার করে যে প্রচারকাজ আপনি চালিয়েছিলেন তা অত্যন্ত নিন্দনীয়।”
উল্লেখ্য, এ নিয়ে সোমবারই মুখ্যমন্ত্রীর সচিবকে চিঠি দিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। জানতে চাওয়া হয়েছে, নির্বাচনবিধি কার্যকর হওয়ার পরও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কেন বিধিভঙ্গ করেছেন? তিনি কীভাবে সরকারি গাড়ি এবং অন্যান্য সুবিধা ব্যবহার করে ভোটের প্রচার ও প্রশাসনিক কাজে গেলেন, তা সবিস্তারে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে। কমিশনের এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছে তৃণমূল। টুইটারে তারা লিখেছে, “গণতন্ত্রকে বজায় রাখতে নির্বাচন কমিশনের এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানাই।” ত্রিপুরার বিধানসভা আসনগুলির ফলাফলের দিকে তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল। সরগরম ভোট-আবহ। কারণ, বছর ঘুরলেই সে রাজ্যে বিধানসভা ভোট। বিজেপির অন্দরের সমীক্ষা বলছে, এখনই ত্রিপুরার নির্বাচন হলে বিজেপি জিতবে ১২ আসন। এমন পরিস্থিতিতে ক’টা আসনে জয় পাবে গেরুয়াশিবির, সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছে সারা দেশ। আর ভোটের প্রাক্কালে এহেন বিতর্ক স্বাভাবিকভাবেই চাপ বাড়িয়েছে ত্রিপুরার পদ্ম-পরিবারের উপর।