ফের কড়া ভাষায় প্রশাসনিক কর্তাদের হুঁশিয়ারি দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর আগে জেলার প্রশাসনিক সভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রোষে পড়েছিলেন সেখানকার জেলাশাসক রাহুল মজুমদার। আজ পুরুলিয়ার প্রশাসনিক সভায় মমতার বকুনি খেলেন সেখানকার জেলাশাসক কে রাধিকা আইয়ার। পুরুলিয়ার রায়পুর ব্লকের জল সরবরাহ প্রকল্প শুরু হয়েছিল ২০১৪ সালে। সেই প্রকল্পের কাজ এগিয়েছে ৮৫%। জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের এই প্রকল্প এত বছরেও কেন শেষ হয়নি, সেই সুবাদেই জুটল মুখ্যমন্ত্রীর ভর্ৎসনা। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, যে দফতর এই কাজ শেষ করতে পারেনি, তাদের কানমলা খাওয়া উচিত।
উল্লেখ্য, জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর কাজ ছাড়াও মুখ্যমন্ত্রীর নজরে ছিল কিষাণ মান্ডিতে কৃষকদের ঠকানোর অভিযোগ। জানা গেছে, কিষাণ মান্ডিতে নাকি ওজনের মেশিনে গোলমাল করে ধান কেনার সময় ঠকানো হচ্ছে কৃষকদের। সেই নিয়ে অভিযোগের চিঠি গেছিল মুখ্যমন্ত্রীর কাছে। এর ভিত্তিতে মমতা নির্দেশ দেন, সরকারি নোডাল অফিসারদের ওজনের যন্ত্র পরীক্ষা করে ছাড়পত্র দিতে হবে কিষাণ মান্ডিগুলোয়। এছাড়াও প্রতিটি কিষাণ মান্ডিতে বসাতে হবে সিসিটিভি। কৃষকরা যাতে আড়তদারদের কাছে সস্তায় ধান বিক্রি করতে বাধ্য না হন, তা দেখতে হবে সরকারি আধিকারিকদের। এমনই নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।