অস্বস্তি অব্যাহত পদ্ম-পরিবারে। দলবদল-কাঁটা এখনও বিঁধে রয়েছে গলায়। অর্জুন সিংয়ের পর
এর পর কে যাচ্ছেন তৃণমূলে? উঠছে প্রশ্ন। যা বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে কার্যত ভয়ঙ্কর। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকেই বিজেপির ভাঙন শুরু হয়েছে। একে একে শিবির বদলে মুকুল, সব্যসাচী, রাজীবের মতো নেতা ঘর ওয়পসি করেছেন। বিজেপি সাংসদ বাবুলও দল বদলে এখন তৃণমূলের বিধায়ক। অন্যদিকে ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুনও ফিরে এসেছেন। ক্রমশই ফাটল চওড়া হচ্ছে বিজেপির অন্দরে। সাংগঠনিক দুর্বলতা, দলবদল, গোষ্ঠীকোন্দলে বিপর্যস্ত গেরুয়াশিবির। ২১-এর পর থেকে প্রতিটি নির্বাচনে বাংলায় বিজেপির ভোটের হার কমছে। যা মাথাব্যথা বাড়াচ্ছে আরও।
পাশাপাশি, চিন্তা বাড়াচ্ছে এ রাজ্যের বিজেপির সাংসদদের দল বদলের সম্ভাবনা। এবারের ফাটল যে খুবই চওড়া হতে চলেছে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথাতে তার ইঙ্গিত মিলেছে। প্রকাশ্য সভা থেকে তিনি বলছেন, তৃণমূল দরজা খুলে দিলে বঙ্গ বিজেপি উঠে যাবে। আর এতেই সিঁদুরে মেঘ দেখছেন বিজেপি নেতারা। সদ্য দলে ফেরা অর্জুন সিংয়ের গলাতেও একই সুর। চার বিজেপি সাংসদের নাম ঘুরপাক খাচ্ছে। হুগলীর লকেট চট্টোপাধ্যায়, রানাঘাটের জগন্নাথ সরকার, বিষ্ণুপুরের সৌমিত্র খাঁ এবং মালদহের খগেন মুর্মূর নাম শোনা যাচ্ছে। কেউ কেউ বলছেন, ভাঙন কার্যত নিশ্চিত। চার সাংসদের তৃণমূলে আসা কেবল সময়ের অপেক্ষা, শোনা যাচ্ছে এমনটাই। শুধু সাংসদেরাই নন, দল ছাড়তে পা বাড়িয়ে রয়েছেন বিজেপির একাধিক বিধায়ক। শিলিগুড়ির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ, হরিণঘাটার বিধায়ক অসীম সরকার, কল্যাণীর বিজেপি বিধায়ক বঙ্কিম ঘোষের নাম শোনা যাচ্ছে। বাঁকুড়া জেলার প্রায় সব বিজেপি বিধায়কেরাই নাকি তৃণমূলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। তবে কি তৃণমূলের তরফে সবুজ সংকেত মেলার অপেক্ষা? ফের বড়সড় দল বদল দেখবে বাংলা? উঠছে প্রশ্ন। ক্রমশ চাপ বাড়ছে গেরুয়াশিবিরের বন্দরে। ভাঙন রুখতে রীতিমতো দিশাহারা পদ্ম-নেতৃত্ব।
