বুথ পর্যায়ে বিজেপির সংগঠন সারা দেশে সবচেয়ে দুর্বল এই বাংলায়। ২০২৪-এর লোকসভা ভোটের আগে দেশজুড়ে সংগঠনের হাল জানতে কেন্দ্রের শাসক দল একটি অভ্যন্তরীণ সমীক্ষা চালায়। তাতেই প্রকাশ্যে এসেছে এই রাজ্যে গেরুয়া শিবিরের দৈন্যদশা। আর তাই বঙ্গ বিজেপির ওপর খাপ্পা কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। তাদের প্রশ্ন, গত কয়েক বছরে যে রিপোর্ট বঙ্গ বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে পাঠিয়েছে, তাতে কি আদৌ বাস্তবের প্রতিফলন ছিল?
সংগঠনের শক্তি দেখাতে অতীতে বাস্তবচিত্রে জল মেশানো রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে। এমনটাই অভিযোগ বিজেপির রাজ্য নেতাদের বিরুদ্ধে। দলের অন্দরেই এখন প্রশ্ন উঠছে, তবে কি মিথ্যা রিপোর্ট জমা পড়ছিল মোদী শাহের কাছে? সেই বিভ্রান্তিকর রিপোর্টের ভিত্তিতেই কি দিল্লীর নেতারা বাংলা জয়ের দিবাস্বপ্ন দেখছিলেন? সেই কারণেই কি ২০০ আসন জয়ের আস্ফালন করে শেষে জুটল ৭৭টি আসন?
বিজেপি সূত্রে খবর, এবার থেকে সম্পূর্ণ অনলাইন পদ্ধতিতে সাংগঠনিক তথ্য সংগ্রহ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেখানে বুথ সভাপতি ও সদস্যদের নাম, ঠিকানা, ফোন নম্বর, জন্ম তারিখ, ছবি, প্যান বা আধার কার্ডের নম্বর সহ বিস্তারিত জানাতে হবে। আর যাতে জল না মেশানো যায় তাই বিশেষ মোবাইল অ্যাপ আনছে বিজেপি। ওই অ্যাপে সংগঠনের নিচুতলার সদস্য ও পদাধিকারীদের তথ্য থাকবে।
বাংলায় দলের হাল দেখে ক্ষুব্ধ কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। ২০২৪ এও যাতে ২০২১ এর পুনরাবৃত্তি না হয় সেটাই এখন চিন্তা দলের। তাই সাংগঠনিক সংস্কার করতে মরিয়া গেরুয়া শিবির।
