আগুনে দামের জেরে জর্জরিত দেশবাসী। অব্যাহত পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি। পাশাপাশি, মধ্যবিত্তদের দুশ্চিন্তা বাড়িয়ে গত কয়েকমাসে ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে রেশনে বিক্রি হওয়া কেরোসিনের দাম। মোদী সরকারের সিদ্ধান্তের ফলে দাম বেড়েছে এই নিত্যপ্রয়োজনীয় এই সামগ্রীর। যার ফলে নিম্ন মধ্যবিত্ত ও গরিব মানুষের পক্ষে কেরোসিন কেনা এখন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। এর জেরে ডিলারদেরও বিক্রি কমেছে। যার প্রভাব পড়েছে এজেন্ট বা হোলসেলারদের বরাদ্দের ওপর। সূত্রের খবর, বিক্রি কমে যাওয়ার ফলে এপ্রিল মাসে এজেন্টরা বরাদ্দের প্রায় ৬০ শতাংশ কেরোসিন তুলতে পেরেছেন। মে মাসে তুলেছেন আরও কম। বরাদ্দের মাত্র ৩০ শতাংশ কেরোসিন তুলেছেন ডিলাররা। পাশাপাশি, কেরোসিন নিয়ে কেন্দ্রের হঠকারিতার ফলে রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থাগুলিও সমস্যায় পড়েছে।
উল্লেখ্য, ইত্যবসরেই তেল সংস্থাগুলি রাজ্যের খাদ্য দফতরকে চিঠি পাঠিয়ে জানতে চেয়েছে, মে মাসে কোন এজেন্ট কত পরিমাণ কেরোসিন তুলেছেন। ২৩শে মে পাঠানো হয়েছে সেই চিঠি। এই চিঠিতে যে তথ্য উঠে এসেছে, তাতেই প্রকট কেরোসিন সংকটের ছবি। চিঠিতে বলা হয়েছে, শিলিগুড়ি ডিভিশনে মে মাসে মোট বরাদ্দের পরিমাণ ছিল ৮,৩৬৪ কিলোলিটার। সেখানে তোলা হয়েছে মাত্র ২,০৩৪ কিলোলিটার। যে এজেন্টরা বরাদ্দ তোলেননি, তাদের চিঠি দিয়ে তেল তুলতে বলা হয়েছে। প্রসঙ্গত, বাংলার বিভিন্ন জেলায় রেশনে প্রতি লিটার কেরোসিন বিক্রি হচ্ছে ৮৩ থেকে ৮৭ টাকার মধ্যে। মার্চ থেকে মে মাসের মধ্যে লিটারে দাম বেড়েছে প্রায় ২৫ টাকা। আর এতেই সমস্যায় সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ। কার্যত পর্যুদস্ত দশা তাদের। মূল্যবৃদ্ধি থেকে রেহাই কবে মিলবে, তাও অজানা।
