এ সময়ের দক্ষ রাজনীতিক হিসেবেই পরিচিত অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে এবার তাঁর দরদী ও মানবিক দিকটির সাথে পরিচয়সঘটল উত্তর ২৪ পরগনার শ্যামনগরের বাসিন্দারা। সোমবার শ্যামনগরে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভায় যোগ দিতে আসা এক মহিলা বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। জানতে পারার পরই এগিয়ে আসেন তৃণমূল সাংসদ। দ্রুত ওই মহিলাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার নির্দেশ দেন অভিষেক। পরে গরমে অসুস্থ হয়ে পড়েন আরও একজন। সেই মহিলাকে দেখতেও সরাসরি তাঁর সামনে হাজির হন তিনি। শ্যামনগরের মঞ্চে তখন সবেমাত্র বক্তব্য রাখতে উঠেছিলেন অভিষেক। সেই সময় হঠাৎই মঞ্চের পাশে হইহট্টগোল শুনে বক্তব্য থামিয়ে দেন তিনি। জানতে পারেন, উপস্থিত জনতা জানায়, মঞ্চের সামনে এক মহিলা জ্ঞান হারিয়েছেন। বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়েছেন ওই মহিলা। সঙ্গে সঙ্গে উপস্থিত পুলিশ কর্মীদের গিয়ে মহিলাকে উদ্ধারের নির্দেশ দেন অভিষেক। ব্যবস্থা করেন প্রয়োজনীয় চিকিৎসারও।
এরপর সভামমঞ্চ থেকে অভিষেক জানতে চান, সেখানে কোনও চিকিৎসক উপস্থিত রয়েছেন কিনা। এর পরই মহিলাকে উদ্ধার করে মঞ্চের পিছনে অভিষেকের জন্য বরাদ্দ ঘরে নিয়ে যেতে নির্দেশ দেন তিনি। বলেন, “মহিলাদের চিকিৎসা সকলের সামনে হয় না। ডাক্তার রয়েছেন, ওঁর চিকিৎসা করবেন।” পুলিশ এবং জনসভার স্বেচ্ছাসেবীরা তাঁকে উদ্ধার করে নিয়ে যান। সভার শেষে তীব্র গরমে অসুস্থ হয়ে পড়েন আরও এক মহিলা। সভা শেষে তাঁকে দেখতে যান ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ। উল্লেখ্য, একাধিক জনসভায় অভিভাবকের ভূমিকা পালন করতে দেখা গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। দলের নেতা-কর্মীদের নাম ধরে ডেকে ডেকে খোঁজ নিতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। কে কীভাবে ভাল থাকবেন, কার কী চিকিৎসা চলছে, কার কী প্রয়োজন তা কার্যত নখদর্পণে থাকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এদিন দলনেত্রীর মতোই অভিভাবকের ভূমিকা পালন করলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। যা নিয়ে প্রশংসা করেছেন অনেকেই।