এমনিতেই শনির দশা চলছে বঙ্গ বিজেপিতে। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকেই ক্রমাগত নেতাদের দলত্যাগ, ক্ষোভ প্রকাশ, ঘনীভূত হতে থাকা অন্তর্দ্বন্দ্ব ক্রমশ সমস্যায় ফেলেছে গেরুয়াশিবিরকে। এবার প্রকাশ্যে এল আরও দুশ্চিন্তাকর তথ্য। বুথ পর্যায়ে বিজেপির সংগঠন সারা দেশে সবচেয়ে দুর্বল এই বাংলায়। ২০২৪-এর লোকসভা ভোটের আগে দেশজুড়ে সংগঠনের হাল জানতে কেন্দ্রের শাসক দল একটি অভ্যন্তরীণ সমীক্ষা চালায়। তাতেই জনসমক্ষে এসেছে এই রাজ্যে পদ্মশিবিরের দৈন্যদশা। আর তাই বঙ্গ বিজেপির ওপর বেজায় ক্ষুব্ধ কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। গত কয়েক বছরে যে রিপোর্ট বঙ্গ বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে পাঠিয়েছে, তাতে কি আদৌ বাস্তবের প্রতিফলন ছিল? এমনই প্রশ্ন তাদের।
পাশাপাশি, সংগঠনের শক্তি দেখাতে অতীতে বাস্তবচিত্রে জল মেশানো রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে। এমনটাই অভিযোগ বিজেপির রাজ্য নেতাদের বিরুদ্ধে। দলের অন্দরেই এখন প্রশ্ন উঠছে, তবে কি মিথ্যা রিপোর্ট জমা পড়ছিল মোদী শাহের কাছে? সেই বিভ্রান্তিকর রিপোর্টের ভিত্তিতেই কি দিল্লীর নেতারা বাংলা জয়ের স্বপ্ন দেখছিলেন? সেই কারণেই কি ২০০ আসনের বারফাট্টাই করে শেষে জুটল ৭৭টি আসন? ২০২৪ এও যাতে ২০২১ এর পুনরাবৃত্তি না হয় সেটাই এখন চিন্তা দলের। আর এমন পরিস্থিতিতে দুর্বল সংগঠন ক্রমেই মাথাব্যথা বাড়াচ্ছে তাদের।