দুঃসময় অব্যাহত বঙ্গ বিজেপিতে। একের পর নেতাদের দলত্যাগ, আভ্যন্তরীণ কোন্দল, সাংগঠনিক দুবর্লতা ক্রমশ দুশ্চিন্তা বাড়িয়ে তুলেছে গেরুয়াশিবিরের। ক’দিন আগেই তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন অর্জুন সিংহ। তারপরেই একাধিক নেতাদের পদ্ম-পরিবার ত্যাগ করে তৃণমূলে যোগদানের জল্পনা শুরু হয়েছে। দলের অন্দরেই এখন মাথাচাড়া দিয়েছে সংশয় ও অবিশ্বাস। আদি-নব্য দ্বন্দ্বও বেরিয়ে পড়েছে প্রকাশ্যে। প্রসঙ্গত, কিছুই আগেই নিজের লোকসভা কেন্দ্রে বিড়ম্বনায় পড়তে হয় হুগলীর সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়কে। এক কর্মী তাঁকে জিজ্ঞেস করেন, তিনিও তৃণমূলে যাচ্ছেন কি না। এতেই মেজাজ হারান বিজেপি সাংসদ।
উল্লেখ্য, এরপরই লকেটের দলবদল নিয়ে জল্পনা বাড়িয়ে দিলেন বালিগঞ্জের বিধায়ক বাবুল সুপ্রিয়। তাঁর দলবদল প্রসঙ্গে করা মন্তব্যের প্রেক্ষিতেই লকেটকে খোঁচা দিয়েছেন একদা দলীয় সতীর্থ বাবুল। এক বেসরকারি সংবাদ মাধ্যমের কাছে তৃণমূলে যাওয়ার জল্পনা উড়িয়ে লকেট দাবি করেছিলেন, “তৃণমূল আমাদের দুর্বল করতেই এ সব রটাচ্ছে। বিজেপি আমায় যে সম্মান দিয়েছে, তার পরে দলবদল করার কোনও প্রশ্নই ওঠে না।” তিনি আরও বলেন, “বাবুল সুপ্রিয় তৃণমূলে গিয়ে কী পেয়েছেন? এখনও দ্বিতীয় একাদশেই রয়ে গিয়েছেন। আর আমি যাবই বা কেন?” তারই পাল্টা দিয়েছেন বালিগঞ্জের তৃণমূল বিধায়কের কাছ থেকে। গতকাল রাতে টুইটে লকেটের উদ্ধৃতি তুলে ধরে বাবুলের টুইটে এল ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য, “আমি বরং চুপই থাকি, কী বলো লকেট!” বাবুলের তৃণমূলে যোগ দেওয়ার সময় থেকেই জল্পনা চলছিল, এ বার কি লকেটের পালা? স্বাভাবিকভাবেই সেই জল্পনা এখন অনেকটাই ঘনীভূত হয়েছে। এরপর জল কোনদিকে গড়ায়, সেদিকেই তাকিয়ে রাজনৈতিক কারবারিরা।