নেই সুরাহার ইঙ্গিত। বরং পরিস্থিতি আরও দুশ্চিন্তাজনক হয়ে উঠতে পারে। মোদী-জমানায় দেশে ক্রমেই ঘনীভূত হচ্ছে বিদ্যুতের সংকট। এমাসের শুরুতেই কয়লার ঘাটতি ঘিরে দিল্লী-সহ বহু রাজ্যেই বিদ্যুতের সংকট দেখা দিয়েছিল। চলতি বছরের সেপ্টেম্বরের মধ্যে অর্থাৎ তৃতীয় ত্রৈমাসিকের মধ্যেই দেশে কয়লার চাহিদায় ব্যাপক ঘাটতি দেখা দিতে পারে, এবার এমনই আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। অত্যধিক বিদ্যুতের চাহিদার ফলেই এই সংকট দেখা দিতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। দেশের বিদ্যুৎমন্ত্রকের এক অভ্যন্তরীণ রিপোর্ট থেকে এমনটাই জানতে পেরেছে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স।
পাশাপাশি, ওই রিপোর্ট থেকে জানা যাচ্ছে, কেন্দ্রের আশঙ্কা কয়লার সরবরাহের তুলনায় চাহিদা ১৫ শতাংশ বাড়তে পারে। ফলে সব মিলিয়ে ৪ কোটি ২৫ লক্ষ টন ঘাটতি হতে পারে কয়লার। অত্যধিক চাহিদার পাশাপাশি কয়েকটি খনি থেকে কয়লার জোগানে ঘাটতিতেও এই সমস্যা দেখা দেবে বলে জানা যাচ্ছে। ভারতে বাৎসরিক বিদ্যুতের চাহিদা অন্তত ৩৮ বছরের মধ্যে সবচেয়ে দ্রুত হারে বাড়ছে। এই সময়ই এই আশঙ্কার কথা জানা গেল। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ধাক্কায় সরবরাহ কমার ফলে সারা বিশ্বে কয়লার দামও রেকর্ড ছুঁয়ে ফেলছে।
উল্লেখ্য, আগামী সেপ্টেম্বর মাসের শেষে বিদ্যুতের চাহিদা মেটাতে দেশে কয়লা প্রয়োজন হবে ১৯ কোটি ৭৩ লক্ষ টন। কিন্তু কয়লা সরবরাহ ১৫ কোটি ৪৭ লক্ষ টনের বেশি হবে না বলেই আশঙ্কা কেন্দ্রীয় মন্ত্রকের। যার ফলে ৪ কোটি ২৫ লক্ষ টনের ঘাটতি তৈরি হবে। রাজ্য সরকারের মালিকানাধীন বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলি যদি আমদানির মাধ্যমে কয়লা সঞ্চয় করে না রাখে, তাহলে খনি থেকে উত্তোলিত কয়লা সরবরাহ কমানো হবে বলে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। তবে এখনও এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করা হয়নি কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎ এবং কয়লা মন্ত্রকের তরফে। পরিস্থিতি ঘিরে ক্রমশ বাড়ছে সংশয়। স্বাভাবিকভাবেই প্রবল সমালোচনায় মুখে মোদী সরকার।