ইউরোপীয় মঞ্চে আরো একবার সেরার শিরোপা জিতল রিয়াল মাদ্রিদ। গৌরবময় ট্রফি ক্যাবিনেটে এল আরেকটি ইউরোপ সেরার খেতাব। ফের উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতল লস ব্লাঙ্কোস। এই নিয়ে ১৪ বারের ইউরোপজয়ী তারা। ২০১৮ সালের পর আবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে লিভারপুলকে হারাল রিয়াল। ম্যাচের ফল ১-০। জয়সূচক গোলটি ব্রাজিলীয় তরুণ তুর্কি ভিনিসিয়াস জুনিয়রের। ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে তাঁর করা একমাত্র গোলেই এবারের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ঘরে তুলল রিয়াল। খালি হাতে ফিরতে হল সালাহ-মানেদের। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালের আগে মিশরীয় তারকা সালাহ বলেছিলেন, তাঁর কিছু হিসাব মেটানোর বাকি আছে। কিন্তু হিসাব মেটাতে ব্যর্থ হলেন তিনি। পাশাপাশি এদিন অভেদ্য হয়ে উঠলেন রিয়ালের গোলরক্ষক থিবো কুর্তোয়া। একের পর এক দুর্দান্ত সেভ করে হতাশ করলেন লিভারপুল সমর্থকদের। বারবার আক্রমণ করেও রিয়ালের গোলে বল জড়াতে পারল না লিভারপুল।
প্রসঙ্গত, শনিবার রাতের ফাইনাল ম্যাচ বেশ সপ্রতিভাবেই শুরু করেছিল য়ুর্গেন ক্লপের ছেলেরা। ম্যাচের ১৬ মিনিটের বক্সের মধ্যে বল পেয়ে গিয়েছিলেন লিভারপুল তারকা মহম্মদ সালাহ। তাঁর শট বাঁচান রিয়াল মাদ্রিদ গোলরক্ষক কুর্তোয়া। এর ঠিক পাঁচ মিনিট পরই বক্সের মাথা থেকে জোরালো শট নেন লিভারপুলের সাদিও মানে। বল রিয়াল মাদ্রিদের গোলরক্ষক কুর্তোয়ার হাতে লেগে পোস্টে লাগে। বিরতির ঠিক আগে অবশ্য একটি গোল করেছিলেন করিম বেঞ্জেমা। কিন্তু ভিএআর-এর সাহায্য নিয়ে রেফারি সেই গোল অফসাইডের কারণে বাতিল করে দেন। বিরতির পরও ম্যাচে ছন্দ খুঁজে পেতে শুরু করে রিয়াল। ৫৯ মিনিটের মাথায় ভালভার্দের নিখুঁত পাসে দুরন্ত গোল করে রিয়াল মাদ্রিদকে এগিয়ে দেন ভিনিসিয়াস। এরপর লিভারপুর পাল্টা চাপ দিলেও আর গোলের মুখ খুলতে পারেনি। দ্বিতীয়ার্ধেও একাধিক দর্শনীয় সেভ করেন কুর্তোয়া। ম্যাচের সেরা বেছে নেওয়া হয়েছে তাঁকেই।