মানুষের সঙ্গে জনসংযোগই দলের মূল অস্ত্র। দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার সে কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন। তাই সেই পথেই এবার সমীক্ষার কাজ শুরু তৃণমূলের। ব্লকস্তরের নেতার হালহকিকত জানতে সমীক্ষা শুরু করল তারা। এলাকার বিধায়কের দেওয়া প্রাথমিক রিপোর্টের ভিত্তিতে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে এই সমীক্ষা শুরু হয়েছে। প্রাথমিক ফিল্ড রিপোর্ট জমা পড়লে তার ভিত্তিতে ওই ব্লকের নেতার ভাগ্য নির্ধারণ করবে রাজ্যের শাসকদল।
এর আগে দেখা গিয়েছে অশান্তির খবর গড়িয়েছে বিধানসভায়। কখনও মন্ত্রীর কাছে, কখনও রাজ্য কমিটির দরবারে। স্থানীয় বিধায়ক ও ব্লক সভাপতিকে বসিয়ে বিধানসভাতেই সেই গোলমাল মিটিয়েছেন তৎকালীন জেলা পর্যবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা মন্ত্রী। পঞ্চায়েত ভোটের মুখে নতুন করে এমন কোনও অশান্তি যাতে মাথাচাড়া দিয়ে দলকে আর অস্বস্তির মধ্যে ফেলতে না পারে, তার জন্যই ব্লকস্তরে এমন সমীক্ষা। ২০ মে-র পর থেকে ধাপে ধাপে রাজ্যজুড়ে ব্লকস্তর পর্যন্ত নতুন কমিটি গড়ে দেওয়ার প্রক্রিয়া সেরে ফেলার কথা নেতৃত্বের। সেই প্রক্রিয়ার প্রাথমিক কাজ শেষ। বিধায়কদের সুপারিশ অনুযায়ী ব্লকস্তর থেকে নেতাদের নাম পৌঁছে গিয়েছে রাজ্য দফতরে। এবার সেগুলিরই স্ক্রিনিং পর্ব চলছে। সেই পর্ব শেষ করেই চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করে দেওয়া হবে।
তাতে কী দেখা হচ্ছে? জনপ্রতিনিধিদের থেকে পাওয়া রিপোর্টের ভিত্তিতে প্রস্তাবিত ব্লক নেতার জনভিত্তি কতটা, মানুষের সঙ্গে মেশার ক্ষমতা কেমন প্রথমেই তা দেখে নেওয়া হচ্ছে। মানুষের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ রয়েছে কি না তা-ও দেখা হচ্ছে। এর সঙ্গে অবশ্যই দেখা হচ্ছে ব্লকের ওই নেতা জনপ্রতিনিধিদের কাজে সহযোগিতা করেন কি না। এক রাজ্য নেতার কথায়, ‘বিধায়কদের থেকে পাওয়া রিপোর্ট অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কার্যালয়ে জমা পড়ছে। সেই রিপোর্ট নিয়েই একেবারে ময়দানে নেমে সমীক্ষা হচ্ছে।’