অশনির প্রভাব কেটে গিয়েছে কবেই। তারপরেও ঝোড়ো হাওয়ার সাথে ঝড় বৃষ্টি লেগেই রয়েছে বাংলায়। প্রতিনিয়তই। তাতে কী? গরমের দাপট থেকে রেহাই মেলেনি কারুর। এখন অপেক্ষা বর্ষার।কবে আসবে সেই সময়? নির্ঘণ্টের ছ’দিন আগেই বর্ষা ঢুকে পড়েছিল আন্দামানে। বঙ্গোপসাগরের একটা বড় এলাকা চলে এসেছিল মৌসুমী বায়ুর আওতায়। এর জেরেই বাংলায় গত কয়েকদিনে বৃষ্টি হলেও ফের এখন গরম বেড়েছে। এদিকে মৌসম ভবন জানাচ্ছে, আর ৪৮ থেকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে কেরালায় বর্ষা ঢুকে পড়বে হুড়মুড়িয়ে। মৌসুমী বায়ু পৌঁছে গেছে দক্ষিণ আরব সাগরে। কেরালা উপকূলে এখনই মেঘ ঘনিয়েছে। তবে বাংলায় কবে বর্ষা ঢুকবে সে ব্যাপারে এখনও কিছু জানায়নি হাওয়া অফিস।
তাঁরা বলছেন, কেরালায় বর্ষা ঢোকার পরে দক্ষিণ ভারত থেকে ধীরে ধীরে পূর্ব ভারতে তার আগমন হয়। এর জন্য আবহাওয়ার বদলও হয় সেভাবে। কিন্তু এতে বাধা তৈরি হলে বর্ষা পিছিয়ে যায়। তাই বর্ষা কেরালা পেরিয়ে ক্রমশ উত্তরের দিকে এগোলে তবেই এ ব্যাপারে কিছু বলা সম্ভব। বাংলায় এখন তাপমাত্রা বেড়েছে। আগামী কয়েক দিন সামান্য তাপমাত্রা বাড়বে বলে জানিয়েছে আলিপুর হাওয়া অফিস। রাজ্যের সব জেলাতেই তাপমাত্রা ২-১ ডিগ্রি ওপরে। বিকেলের দিকে মাঝেমধ্যে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হতে পারে। তবে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা এখনই নেই।
উত্তরবঙ্গের পাঁচ জেলা দার্জিলিং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, কালিম্পংয়ে বৃষ্টির পরিমাণ একটু বেশি হবে। বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, বর্ধমান এবং উপকূলের জেলাগুলিতে বেশি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। দক্ষিণ বঙ্গোপসাগর পেরিয়ে পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর হয়ে উত্তর-পূর্ব দিকে এগোচ্ছে মৌসুমী বায়ু। লাক্ষাদ্বীপেও প্রায় ঢুকে পড়েছে বর্ষা। ভারতের মূল ভূখণ্ড কেরালায় ঢোকার পরেই মৌসুমী বায়ুর গতিবিধি সম্পর্কে বিস্তারিত জানাতে পারবে আবহাওয়া দফতর। মৌসম ভবনের নির্ঘণ্ট অনুযায়ী বঙ্গে বর্ষা পৌঁছনোর স্বাভাবিক তারিখ ১০ জুন। কেরালায় এ বার আগেভাগে ঢুকলেও বর্ষা সেই ধারা বজায় রেখে কিছুটা আগে বঙ্গেও হাজির হবে কিনা, তা এখনই বলা সম্ভব নয় বলে জানাচ্ছেন আবহবিজ্ঞানীরা।