যুগ বদলেছে। বর্তমানে মহিলারা রাজ্য শাসন করা থেকে বিমানও ওড়ান। কিন্তু এখনও মহিলাদের মধ্যে ঋতুস্রাব নিয়ে লজ্জা সম্পূর্ণ কাটেনি। আজও অধিকাংশ মহিলা ঋতুস্রাবের কথা প্রকাশ্যে মুখে আনতে লজ্জা পান। অনেকে তো ওই দিনগুলিতে মুখ লুকিয়ে ঘরেই বসে থাকেন। আবার বর্তমানের অত্যাধুনিক যুগেও বহু মহিলা ঋতুস্রাবের সময় কাপড় ব্যবহার করেন। যার ফলে স্বাস্থ্যহানিও ঘটে। ত্বকের সমস্যা, মূত্রনালি, জরায়ুর সংক্রমণ সহ নানান রকম অসুখ দেখা দেয়।
ঋতুস্রাব লজ্জার নয়, গর্বের। ২৮ মে, ওয়ার্ল্ড মেন্সট্রুয়াল হাইজিন ডে-তে দুর্গাপুরের ১ নম্বর ওয়ার্ডের দাসিরবাঁধ এলাকায় ঘুরে পিছিয়ে পড়া দরিদ্র মানুষজনদের কাছে গিয়ে এমনই বার্তা দিলেন দুর্গাপুরের মেয়র অনিন্দিতা মুখোপাধ্যায়। শুধু বার্তা দেওয়া নয়, সদ্য ঋতুমতী হওয়া মহিলাদের মধ্যে ন্যাপকিন বিতরণও করেন তিনি। আর ন্যাপকিনের ব্যবহার সম্পর্কে মেয়রের সঙ্গে সচেতনতাও দান করলেন সমাজকর্মী অবন্তিকা শ্যাম রায় চৌধুরী। তাঁর কথায়, “ঋতুস্রাব গর্বের বিষয়। এটা নিয়ে কেউ যেন লজ্জাবোধ না করে। আমরা পাশে রয়েছে।” আর এদিন তাঁর এই কর্মযজ্ঞে সামিল হয়েছেন ও দুর্গাপুরের ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শিপ্রা সরকার।
আশ্চর্যের বিষয়, এই সমস্ত অসুখের সমস্যায় ভুগলেও বহু মহিলা লজ্জায় চিকিৎসকের কাছে যান না। আবার চিকিৎসার পর সুস্থ হয়ে গেলেও অনেকের টনক নড়ে না। ঋতুস্রাবের সময় সেই কাপড়-ই ব্যবহার করেন। তাই ন্যাপকিনের ব্যবহার সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে এবং ঋতুস্রাব নিয়ে লজ্জা-ভীতি দূর করতে এবার এগিয়ে এল স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ‘সুচেতা ফাউন্ডেশন’।শনিবার, বিশ্ব ঋতুস্রাব দিবস -এ দুর্গাপুর ১ নম্বর ওয়ার্ডের পিছিয়ে পড়া দাসিরবাঁধ এলাকায় গিয়ে মেয়র ও কাউন্সিলরের সঙ্গে সেখানকার মানুষদের ঋতুস্রাব ও ন্যাপকিনের ব্যবহার সম্পর্কে সচেতনতা গড়ার কাজ শুরু করল ওই সংস্থা।