উপনির্বাচনে কার্যত ধরাশায়ী হয়েছে বিজেপি। এছাড়াও সবসময়ই লেগে রয়েছে বিজেপির ভিতরকার গোষ্ঠী কোন্দল। এবার প্রকাশ্যে এল সেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে পোস্টার দেওয়ার অভিযোগ বিজেপিরই। শিলিগুড়িতে নতুন যুব মোর্চার সভাপতির নাম ঘোষণার পর তুঙ্গে গোষ্ঠী-কোন্দল। নতুন সভাপতিকে সরানোর দাবিতে পোস্টার। বিজেপি সভাপতির বিরুদ্ধে পোস্টারে ছয়লাপ শিলিগুড়িতে। জেলায় বিজেপি যুব মোর্চার সভাপতি হিসেবে অরিজিৎ দাসের নাম ঘোষণা হতেই শিলিগুড়িতে সামনে এল ক্ষোভ-বিক্ষোভ। শনিবার সকালে জেলা বিজেপি সভাপতি আনন্দময় বর্মণের বিরুদ্ধে পোস্টার পড়েছে শিলিগুড়িতে। হাসমি চকসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় পোস্টারে ছয়লাপ করা হয়েছে। কোথাও জেলা বিজেপি সভাপতি ও বিধায়ক আনন্দময় বর্মণের ছবিতে লাল কালি দিয়ে কাটা চিহ্ন দিয়ে লেখা হয়েছে এই জেলা সভাপতি চাই না। কোথাও আবার লেখা হয়েছে যুব সভাপতি পদে সৌরভ বসু সরকারকে চাই।
উল্লেখ্য এর আগে ময়নাগুড়িতে বিজেপি কর্মীদের উপেক্ষা করার অভিযোগ তুলে গণইস্তফার পদে হেঁটেছেন জেলা সম্পাদক সহ একাধিক মণ্ডল কমিটির পদাধিকারী। গত রবিবার বিজেপির ময়নাগুড়ি মণ্ডল কমিটি ঘোষণা করা পর কার্যত আগুনে ঘৃতাহুতি পড়ে। নতুন কমিটিতে দীর্ঘদিনের ত্যাগী, জেল খাটা ও ঘরছাড়া কর্মীদের উপেক্ষা করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন দলের জেলা সম্পাদক অমল রায় সহ একাংশ নেতা। তাঁদের আরও অভিযোগ, ‘কাজের লোকের পরিবর্তে স্বজনপোষন করে কাছের লোকদের ঠাঁই দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে টাকার বিনিময়ে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে পদ।’ সেই রেশ কাটতে না কাটতে এবার শিলিগুড়িতে বিজেপির বিধায়কের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও স্বজনপোষণের অভিযোগে পড়ল পোস্টার।