কখনও গুজরাতের বন্দর থেকে প্রায় সাড়ে চোদ্দ’শ কোটি টাকার মাদক, তো কখনও ৯০ কেজি হেরোইন। বারবারই মোদী রাজ্য দিয়ে হেরোইন পাচারের চেষ্টা হয়েছে। মুন্দ্রা, কান্ডলার মতো গুজরাতের বন্দরগুলি থেকে একাধিক বার বিপুল পরিমাণ ড্রাগ আটক হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের নিজের রাজ্য গুজরাত ‘গেটওয়ে অব ড্রাগস’ হয়ে উঠছে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গেল। কারণ বৃহস্পতিবার ফের গুজরাতের মুন্দ্রা বন্দর থেকে ৫০০ কোটি টাকা মূল্যের ৫২ কেজি কোকেন আটক করেছে কেন্দ্রীয় রাজস্ব গোয়েন্দা বাহিনী। ইরান থেকে নুন রফতানির নামে এই ড্রাগ পাচার করার চেষ্টা হচ্ছিল। এর আগে সেপ্টেম্বরে আদানি গোষ্ঠী পরিচালিত এই মুন্দ্রা বন্দর থেকেই তিন হাজার কেজি ড্রাগ আটক করা হয়। আজ কংগ্রেস প্রশ্ন তুলেছে, গুজরাত উপকূল থেকেই সমস্ত ড্রাগ ভারতে পাচারের চেষ্টা হচ্ছে কেন?
কংগ্রেস মুখপাত্র পবন খেরা বলেন, ‘কখনও পিপাভভ বন্দর, কখনও আবার গৌতম আদানি পরিচালিত মুন্দ্রা বন্দর থেকে, সব ড্রাগ আটক হচ্ছে গুজরাতের উপকূল থেকে। গুজরাত কেন ‘গেটওয়ে অব ড্রাগস’ হয়ে উঠছে?’ এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নীরব কেন, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন খেরা। তাঁর অভিযোগ, ‘মুন্দ্রা বন্দর কর্তৃপক্ষ ঘোষণা করেছিলেন, ইরান, পাকিস্তান, আফগানিস্তান থেকে আর পণ্য আসবে না। অথচ গত কালই ইরান থেকে আসা পণ্যে ড্রাগ ধরা পড়েছে।’ উল্লেখ্য, গত সেপ্টেম্বরে মুন্দ্রায় তিন হাজার কেজি ড্রাগ ধরা পড়ার পরে এনআইএ-কে তদন্তের ভার দেওয়া হয়েছিল। বিরোধীদের প্রশ্ন, এনআইএ তদন্তে কী পেয়েছে? এই ড্রাগ চক্রের মাথা কারা? ভারতে ড্রাগ পাচার রুখতে কেন্দ্রের পরিকল্পনা কোথায়? কংগ্রেস মুখপাত্রের মন্তব্য, ‘ড্রাগ চক্রের মোকাবিলার বদলে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো, সিবিআই, ইডি সবাইকে খুচরো রাজনীতি করতে, বিরোধীদের হেনস্থা করতে মাঠে নামানো হয়েছে।’