৩৭ বছরের প্রাক্তন ক্রিকেটারের অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে চান সিঙ্গাপুর ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের কর্তারা। ২০০৩ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত পাকিস্তানের হয়ে খেলেছেন বাট। ইংল্যান্ড সফরে গিয়ে তিনি ম্যাচ গড়াপেটার অভিযোগে অভিযুক্ত হন। অপরাধ প্রমাণ হওয়ায় পাঁচ বছরের নির্বাসন হয় তাঁর। সে সময় তিনিই ছিলেন পাকিস্তানের অধিনায়ক। ম্যাচ গড়াপেটার অভিযোগে নির্বাসিত হওয়া পাকিস্তানের প্রাক্তন অধিনায়ক সলমন বাটকে জাতীয় দলের কোচ করল সিঙ্গাপুর। আগামী জুলাইয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বে জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে ম্যাচই কোচ বাটের প্রথম চ্যালেঞ্জ। পাকিস্তানের হয়ে ৩৩টি টেস্ট, ৭৮টি এক দিনের ম্যাচ এবং ২৪টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন প্রাক্তন বাঁহাতি ব্যাটার। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটেও তাঁর পরিসংখ্যান বেশ ভাল। এসসিএ-র চিফ এক্সিকিউটিভ সাদ খান জানজুয়ার আশা, নিজের অভিজ্ঞতা এবং দক্ষতা দিয়ে বাট সিঙ্গাপুরের পুরুষদের জাতীয় দলকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন।
সাদ বলেছেন, ‘‘বাট একজন অভিজ্ঞ এবং দক্ষ খেলোয়াড়। তিনি আমাদের ক্রিকেটারদের পরবর্তী পর্যায়ে পৌঁছে দিতে পারবেন।’’ উল্লেখ্য, তাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, হংকংয়ের মতো দলকে হারিয়ে সিঙ্গাপুর ২০২০ সালে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের পূর্বাঞ্চল টি-টোয়েন্টি প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়। সেই সুবাদেই খেলবে বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বে। লর্ডস টেস্টে টাকার বিনিময়ে দুই জোরে বোলার মহম্মদ আমির এবং মহম্মদ আসিফকে নো-বল করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন বাট। ব্রিটেনের আদালত তাঁদের পাঁচ বছরের নির্বাসনের পাশাপাশি কারাবাসের নির্দেশ দেয়। ২০১৫ সালে নির্বাসন মুক্ত হওয়ার পর আমির অবশ্য আবার পাকিস্তান দলে ফিরে এসেছেন। ম্যাচ গড়াপেটার অভিযোগে কলঙ্কিত বাটকে সিঙ্গাপুর কোচ করায় প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন মহলে।