শুভেন্দু অধিকারীর খাসতালুকে দাগ কাটার পাশাপাশি শিল্পশহরে শ্রমিক সংগঠনকে একত্রিত করতে আজ হলদিয়ায় পা রেখেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার হলদিয়ার রানিচকে সংহতি ময়দানে শ্রমিক সমাবেশ থেকে বিজেপিকে একহাত নেওয়ার পাশাপাশি শুভেন্দু অধিকারীকেও তুলোধনা করলেন তিনি। এদিন অধিকারী গড়ে দাঁড়িয়ে শুভেন্দুর নাম না করে তিনি বলেন, শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় বলেছিলেন, ১৯৪২ সালের আন্দোলন হল অর্থহীন, নাশকতামূলক আন্দোলন। তাঁর আদর্শে নাম লিখিয়ে এই জেলার সর্বেসর্বা বলে যিনি নিজেকে দাবি করতেন তিনি এখন ইডি, সিবিআইয়ের ভয়ে নিজের পিঠ বাঁচাতে দিল্লীর তল্পিবাহকতা করে দিনরাত কাটাচ্ছেন।
এরপরই তিনি বলেন, আজ যারা ভাবছে মানুষের টাকা নিয়ে নয়ছয় করব, ইডি এর পেছনে লাগিয়ে দেব, ওর পেছনে লাগিয়ে দেব। তারা কিছুই করতে পারবে না। আমার পেছনে তো ইডি-সিবিআই লাগিয়েছ, কী করতে পেরেছ! কাঁচ কলা। তোমার ইডি, সিবিআই আমাকে ২ বার দিল্লীতে ডেকেছে। আমি গেলাম, মুখোমুখি হলাম। মাথা নত করতে হল। আর তারপরই ওদের দলের দুই সাংসদকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণায় অনুপ্রাণিত করে দলে যোগ দেওয়ানো হল। আমরা দরজা খুললে ওই দলটা উঠে যাবে। ইডি-সিবিআই দিয়ে আমাকে ভয় দেখানো যাবে না। শুধু তাই নয়। নাম না করে শুভেন্দুকে ‘অকৃতজ্ঞ’, ‘গদ্দার’ বলে চিহ্নিত করে তিনি হুঁশিয়ারি দেন, ‘দাদার অনুগামী হওয়া চলবে না।’ ১১ বছর ধরে ছদ্মবেশ ধরে একজন দলের সর্বনাশ করেছে বলে উল্লেখ করছেন অভিষেক। তাঁর একাধিক আক্রমণেই স্পষ্ট, শুভেন্দুর গড়ে দাঁড়িয়ে তাঁকেই নিশানা করেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক।
তিনি বলেন, ‘১১ বছর ধরে একটা লোক সব শেষ করে দিয়েছে। মানুষের টাকা নিয়ে নিয়েছে। নিজে কোটি কোটি টাকা করেছে। টিভির পর্দাতে টাকা নিতে দেখা গিয়েছে। আর কথায় কথায় বলে – আমি অকৃতদার। আরে আপনি অকৃতদার নন, অকৃতজ্ঞ।’ শুভেন্দুর প্রতি তাঁর আরও আক্রমণ, ‘আমরা বিভীষণদের চিনে নিয়েছি। আমি আসার পথেও ৪,৫ জন বিভীষণকে দেখেছি। যাঁর নেতৃত্বে উত্তর কলকাতায় গুণ্ডামি করে বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙা হল, এই জেলার একসময়ের সর্বেসর্বা তাঁর পদলেহন করে, নিজেকে ইডি-সিবিআইয়ের হাত থেকে বাঁচতে দলবদল করল। দিল্লীর বুকে মেদিনীপুরের আবেগকে বিক্রি করল।’