বিজেপির বিরুদ্ধে মুখ খুললেই বিরোধীদের চুপ করাতে কেন্দ্রীয় এজেন্সি-পুলিশ লেলিয়ে দেয় বিজেপি। বারবারই এই অভিযোগ করে এসেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ দেশের বিরোধী নেতা-নেত্রীরা। সাম্প্রতিক কালে এ রাজ্যে সিবিআইয়ের ‘অতিসক্রিয়তা’ সেই অভিযোগকে ঠিক বলেই প্রমাণ করছে। এবার যেমন পার্থ চট্টোপাধ্যায়-পরেশ অধিকারী-অনুব্রত মণ্ডল-পরেশ পালের পর শওকত মোল্লাকে তলব করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। কয়লা পাচারকাণ্ডে ক্যানিং পূর্বের তৃণমূল বিধায়ককে তলব করেছে তারা। এবার এ নিয়ে মুখ খুলে শওকতের ওপেন চ্যালেঞ্জ, ‘কয়লা পাচার তো দূরের কথা কোথাও ঘুটে পাচারের প্রমাণ দিতে পারলে হাসি মুখে ফাঁসির মঞ্চে উঠে যাব’।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার সকাল ১১টা নাগাদ তাঁকে নিজাম প্যালেসে হাজির থাকতে বলা হলেও উপস্থিত হননি শওকত। আইনজীবী মারফত এই বিধায়ক ১৫ দিনের সময় চেয়েছিলেন। এরই মধ্যে শনিবার বাখড়াহাট গ্রাম পঞ্চায়েতের কর্মিসভায় উপস্থিত হয়ে ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক বলেন, কয়লা পাচার তো দূরের কথা কোথাও ঘুটে পাচারের প্রমাণ দিতে পারলে হাসি মুখে ফাঁসির মঞ্চে উঠে যাব। এদিন নাম না করে শুভেন্দু অধিকারীকেও নিশানা করেন তিনি। বলেন, ‘আমাদের দল থেকে এক বিশ্বাসঘাতক মির্জাফর ওই দলে চলে গিয়েছে। বারবার বাবার কাছে বলছে তৃণমূলের কিছু নেতাকে টাইট দিতে হবে। তার জন্য তোমার মন্ত্র প্রয়োগ কর। মন্ত্রটা কী! সিবিআই-ইডিকে কাজে লাগাও। আমি সিবিআই এবং ইডিকে দোষ দিচ্ছি না। কারণ উপরের নির্দেশে তাদের চলতে হয়।’ শওকতের আরও অভিযোগ, ‘দেশের গরীব মানুষকে যারা প্রতিনিয়ত ঠকাচ্ছে, অর্থ তছরুপ করছে, তাদের সিবিআই ডাকছে না কেন? তারা তো তৃণমূল করে না। তাই ডাকা হচ্ছে না।’