গত বছর অক্টোবর মাসে মাদকচক্রে জড়িয়ে পড়েছিলেন শাহরুখপুত্র আরিয়ান খান। মাদক কাণ্ডে জড়িয়ে প্রায় ২৬ দিন হাজতবাসও করেছিলেন তিনি। ছেলের এই অবস্থায় স্বাভাবিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন শাহরুখ খান। সমস্ত শুটিং বাতিল করে ছেলেকে জামিন পাওয়ানোর জন্যই শত চেষ্টা করছিলেন শাহরুখ। সেই নিয়ে হই হই পড়েছিল সবার মধ্যে। তবে অবশেষে সেই অপবাদ ঘুচল। মাদক মামলায় শুক্রবার ক্লিনচিট পেয়েছেন শাহরুখ খানের ছেলে আরিয়ান খান সহ মোট ছ’জন। কেন্দ্রীয় এজেন্সি গতকালকেই বলেছিল সেই অফিসার সমীর ওয়াংখেড়ের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ হওয়ার কথা শোনা গিয়েছিল। তা যে হচ্ছেই শনিবার একপ্রকার নিশ্চিত করে দিলেন এনসিবির ডিজি এসএন প্রধান। তিনি বলেছেন, আরিয়ানদের গ্রেফতার করার পর যে ভাবে তদন্ত হয়েছিল তা প্রক্রিয়া মেনে হয়নি। তাই এটা স্পষ্ট, আরিয়ানকে ফাঁসানোর চেষ্টা হয়েছিল। কারণ হিসেবে এসএন প্রধান বলেছেন, গ্রেফতারের পর মেডিক্যাল টেস্ট করানো হয়নি আরিয়ানের। জেরার সময়ে ভিডিওগ্রাফিও হয়নি।
তা ছাড়া যে ভাবে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট দেখা হয়েছিল তা বৈধ নয়। গত অক্টোবর মাসে মুম্বই থেকে গোয়াগামী প্রমোদতরী থেকে মাদক মামলায় গ্রেফতার হন আরিয়ান খান। আরিয়ান জেলে থাকার সময়েই এনসিবি-র একাধিক সূত্র দাবি করে, আরিয়ান জেরায় স্বীকার করেছেন, তিনি নিয়মিত মাদক নেন। ব্যাপারটা যখন মুম্বইয়ের আন্ডারওয়ার্ল্ড, নিষিদ্ধ মাদক কারবার আর বলিউডের মধ্যে সম্পর্ক, যোগের বৃত্তে ঘুরছে তখন সেই কক্ষপথ বদলে দিয়েছিলেন মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী তথা প্রবীণ এনসিপি নেতা নবাব মালিক। সেদিন নবাব বলেছিলেন, আরিয়ানকে ফাঁসানো হয়েছে। শাহরুখের অনেক টাকা। এ হল পয়সাওয়ালা বাবার কাছ থেকে টাকা লুঠের ছক—ছেলেকে ফাঁসিয়ে দাও। দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসার সমীর ওয়াংখেড়ের সম্পর্কে সেদিন নবাব বলেছিলেন, ওই অফিসারের রেকর্ড আছে বড় লোকের ছেলেমেয়েকে ফাঁসিয়ে টাকা আদায় করা। নবাব সেদিন এও বলেছিলেন, কেন্দ্রীয় এজেন্সি এটাই করে। কখনও রাজনৈতিক প্রতিহিংসা, কখনও টাকা লুঠের উদ্দেশে সাজানো মামলা।