তারাপীঠ সতীপিঠ। ৫১ পীঠের মধ্যে অন্যতম পীঠ সাধক বামাক্ষ্যাপার স্মৃতি বিজড়িত এই স্থান৷ স্বাভাবিকভাবেই মায়ের আর্শীবাদ পেতে বছরভর ভক্তদের ভিড় লেগে থাকে এখানে৷ বিশেষত অমবস্যার সময় তারাপীঠে তিন ধারণের জায়গা থাকে না৷ কিন্তু এবার সেই তারাপীঠই সাক্ষী হতে চলেছে উলোট পুরাণের৷ রাত পোহালেই ফলহারিনী অমাবস্যা৷ তার আগে এলাকার পুরোহিত থেকে পান্ডা সকলেই একবাক্যে জানাচ্ছেন, কৌশিকী অমাবস্যার পর এই ফলহারিনী অমবস্যায় সবচেয়ে বেশি মানুষের ভিড় হয়৷ এক সপ্তাহ আগে থেকেই ভক্তদের আসা শুরু হয়৷ তিল ধারণের জায়গা থাকে না হোটেলগুলিতে৷ এবারে সেখানে উলোট পুরাণ৷ মায়ের পুজোর যাবতীয় আয়োজন তৈরি৷ কিন্তু ভক্তদের দেখা নেই৷
এ হেন পরিস্থিতির জন্য রেলকেই দুষছেন সকলে৷ তাঁদের কথায়, গত দু’বছর করোনা পরিস্থিতি কাটিয়ে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরেছিল তারাপীঠ মন্দির। কিন্তু আজ থেকে ৩০ মে পর্যন্ত রামপুরহাট থেকে কলকাতাগামী বেশকিছু ট্রেন বাতিল হওয়ায় ভক্ত শূন্য হয়ে পড়েছে তারাপীঠ মন্দির। কারণ, তারাপীঠে আগত ভক্তদের প্রায় ৭০ ভাগই বিভিন্ন জায়গা থেকে ট্রেনে চড়ে তারাপীঠে আসেন৷ কিন্তু টানা চারদিন ট্রেন চলাচল কম হওয়ায় ভক্ত সমাগমে টান পড়েছে৷ আর এর ফলে স্বাভাবিকভাবেই বড় ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন তারাপীঠ মন্দির এবং হোটেল ব্যবসায়ীরা৷ কারণ, হোটেল বুকিং করার পরেও ট্রেন বন্ধ থাকায় ক্যানসেল করতে হচ্ছে বুকিং। ফলে মন ভাল নেই তারাপীঠ মন্দিরের পুরোহিত থেকে ব্যবসায়ীদের৷ তাঁরা সকলেই একযোগে ক্ষোভ উগড়ে দিচ্ছেন মোদী সরকারের রেল মন্ত্রকের বিরুদ্ধে।