দেশজুড়ে ক্রমশ প্রকট হচ্ছে বিদ্যুতের আকাল। মোদীর আমলে মহাসংকটের দিকেই যাচ্ছে দেশের বিদ্যুৎ ব্যবস্থা। কয়লার বিপুল ঘাটতির কারণে ইতিমধ্যেই দেশের নানা রাজ্যে বিদ্যুৎ পরিষেবা ব্যাহত হয়েছে। সাথে যোগ হয়েছে নতুন সমস্যা। বিভিন্ন রাজ্যে সরকারি ও বেসরকারি বিদ্যুৎ সরবরাহ সংস্থাগুলি চরম লোকসানের মুখে। মোট ক্ষতির পরিমাণ ৫ লক্ষ কোটি। এই বিদ্যুৎ সরবরাহ সংস্থাগুলি এবার বন্ধ হওয়ার মুখে। একদিকে ঋণের বোঝা অন্যদিকে ক্রমবর্ধমান বকেয়ার পরিমাণ, ফলত আতান্তরে সংস্থাগুলি। তার ওপর কেন্দ্রীয় সরকার কোনও সদর্থক পদক্ষেপ নিচ্ছে না। এই অবস্থায় পরিকাঠামো যে কোনও সময় ভেঙে পড়তে পারে দেশের বিদ্যুৎ সরবরাহ। চিন্তায় দেশবাসী।
প্রসঙ্গত, সংকট দূরীকরণের লক্ষ্যে তাই এখন বিশেষ প্যাকেজ ও সহায়তা প্রকল্প চাইছে বিদ্যুৎ মন্ত্রক। সেই মত, একটি পরিকল্পনা লিখিতভাবে অর্থমন্ত্রকে জমা দেওয়া হয়েছে। প্রস্তাব গিয়েছে রাজ্যগুলির কাছেও। কিন্তু এই প্যাকেজ দিতে যে পরিমাণ আর্থিক ক্ষতি হতে পারে, তার বোঝা কে বইবে? উত্তর নেই কারও কাছে। বিদ্যুৎ মন্ত্রকের প্রস্তাব, সরবরাহ সংস্থাগুলির যাবতীয় বকেয়া সম্পূর্ণ মকুব না হলেও আপাতত স্থগিত করা হোক। আর সঙ্গে বেশ কয়েক বছরের কিস্তিতে তা শোধের সুযোগ। কিন্তু এই প্রস্তাবে রাজি নয় কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক। কারণ, দেশের অর্থনীতি এখন বিশ বাওঁ জলে। এই অবস্থায় বেসরকারি সংস্থাকে ছাড় দেওয়া হলে অর্থের সংস্থান আরও কমবে। অনাদায়ী অর্থ মকুব করলে কোষাগারে টান পড়বে। এই নিয়ে অর্থ ও বিদ্যুৎ মন্ত্রকের মধ্যে তীব্র হচ্ছে টানাপোড়েন। কিন্তু অচিরেই এই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত না হলে, দেশ ডুবে যেতে পারে অন্ধকারে। ক্রমশ ঘনীভূত হচ্ছে সংশয়। রেহাই কবে মিলবে, তা এখনও অজানা।
