হিন্দি বনাম তামিল ভাষা বিতর্ক আরও খানিকটা উস্কে এবার সরাসরি মোদীকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিন। এমকে স্ট্যালিন দাবি করেছেন, সমস্ত সরকারি অফিসে হিন্দিকে যেমন ব্যবহার করা হয় তার সমানই তামিল ভাষাকেও ব্যবহার করতে হবে। তিনি মোদীর কাছে আবেদন রাখেন, হিন্দির মতো তামিল ভাষাকেও যাতে সমস্ত সরকারি অফিসে ব্যবহার করা হয় তার ব্যবস্থা করার।
উল্লেখ্য, রাষ্ট্রভাষা ইস্যুতে ইতিমধ্যেই দক্ষিণী রাজ্যগুলির ভাষা বনাম হিন্দি বিতর্ক তুঙ্গে। সেক্ষেত্রে আলাদা করে মাত্রা পেয়েছে তামিল বনাম হিন্দি বিতর্ক। এদিকে, ২০২১ সালে এপ্রিল-মে মাসে তামিলনাড়ু বিধানসভা নির্বাচনের পর এই প্রথম চেন্নাই সফরে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। আর তাঁর সফরকালেই কার্যত ভাষা-বিতর্কে মোদীকে বড় চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী তথা ডিএমকে নেতা স্ট্যালিন।
তামিলনাড়ুতে একাধিক প্রকল্পের উদ্বোধনে চেন্নাই সফর করেন মোদী। এদিকে তামিল মুখ্যমন্ত্রীর এই ভাষা বিতর্কে দাবির পরই মঞ্চে বলতে ওঠেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী মোদী তামিল ভাষা ইস্যুতে তামিল কবি সুব্রহ্মণ্যম ভারতিয়ারকে উল্লেখ করে বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, ‘তামিল ভাষা চিরন্তন এবং তামিল সংস্কৃতি বিশ্বব্যাপী। চেন্নাই থেকে কানাডা। মাদুরাই থেকে মালয়েশিয়া। নামক্কাল থেকে নিউইয়র্ক। সালেম থেকে দক্ষিণ আফ্রিকা পর্যন্ত, পোঙ্গলএবং পুথান্ডু (নববর্ষ) উপলক্ষগুলি অত্যন্ত উৎসাহের সাথে পালিত হয়।’
উল্লেখ্য, ভাষা ইস্যুতে বহুদিন ধরেই তামিল সরকারের সঙ্গে কেন্দ্রের মোদী সরকারের সংঘাত দেখা গিয়েছে। কেন্দ্রের আনা নয়া শিক্ষা নীতি স্ট্যালিন সরকারের কার্যত না পসন্দ! তামিল সরকার জানিয়েছে তারা দুটি ভাষাকে নিয়ে শিক্ষানীতিতে চলতে শুরু করছে। একটি তামিল অন্যটি ইংরেজি। তবে সেই ইস্যুতে স্ট্যালিন এদিন কিছু না বললেও সভা মঞ্চ থেকে মোদী বলেন, নয়া শিক্ষানীতিতে ‘তামিল যুবকরা সুবিধা পাবেন।’ এদিকে এদিনের সভা মঞ্চ থেকে তামিলরাজ্যের বিভিন্ন প্রকল্পে কেন্দ্রীয় অর্থের যোগান বাড়ানোর দাবি করেন স্ট্যালিন।