লন্ডনে আয়োজিত ‘আইডিয়াস ফর ইন্ডিয়া’ অনুষ্ঠানে বিজেপিকে এক হাত নিয়েছিলেন রাহুল গান্ধী। বিদেশের মাটিতে দাঁড়িয়ে তিনি মোদী জমানায় ভারতে ‘ডিপ স্টেট’-এর বিপদের কথা বলেছিলেন। তাঁর অভিযোগ ছিল, বিজেপি-আরএসএসের লোকেদের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ঢুকিয়ে ভারতের ঐতিহ্যশালী প্রতিষ্ঠানগুলিকে পরিকল্পিত ভাবে ধ্বংস করা হচ্ছে। এবার মোদী সরকারের অষ্টম বর্ষপূর্তির পর তাঁর জমানায় শিক্ষা, সংস্কৃতি, গবেষণার সঙ্গে যুক্ত কোথায় কোন প্রতিষ্ঠানে আরএসএসের কোন ব্যক্তিকে বসানো হয়েছে, তার তালিকা প্রকাশ করল কংগ্রেস।
কংগ্রেসের অভিযোগ, মত প্রকাশের স্বাধীনতা, গঠনমূলক কাজ, নিরপেক্ষ চিন্তাভাবনার বাধা দিতে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাথায় বিজেপি-সঙ্ঘের লোক চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি মোদী সরকারের রাজনৈতিক পরীক্ষাগার হয়ে উঠেছে। কংগ্রেস নেতা রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা, অজয় মাকেনের অভিযোগ, ‘ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব হিস্টরিকাল রিসার্চ’-র অধ্যক্ষ হিসেবে ভাই সুদর্শন রাওকে নিয়োগ করা হয়েছে, যিনি আরএসএসের অখিল ভারতীয় ইতিহাস সংকলন যোজনা-র হায়দরাবাদ শাখার প্রধান ছিলেন। কিন্তু ইতিহাসবিদ হিসেবে তাঁর কোনও পরিচিতি নেই।
তাঁরা জানিয়েছেন, আরএসএসের মুখপাত্র পাঞ্চজন্যর প্রাক্তন সম্পাদক বলদেব শর্মাকে ন্যাশনাল বুক ট্রাস্টের চেয়ারম্যান পদে বসানো হয়েছে। মৌলানা আজাদ রাষ্ট্রীয় উর্দু বিশ্ববিদ্যালয়েরচ্যান্সেলর পদে নিয়োগ করা হয়েছে মোদীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ ও ঘোষিত সমর্থক জাফর সরেশওয়ালাকে। পুণের এফটিআইআই-এর চেয়ারম্যান হিসেবে গজেন্দ্র চৌহানকে নিয়োগ করার পরে বিরোধিতা হয়েছিল। এবিভিপির সঙ্গে জড়িত সঞ্জয় দ্বিবেদীকে আইআইএমসির ডিজি করা হয়েছে। বিজেপি সাংসদ বিনয় সহস্রবুদ্ধেকে আইসিসিআর-এর প্রধান, আরএসএসের ভারতীয় শিক্ষণ মণ্ডলের জাতীয় অধ্যক্ষ সচ্চিদানন্দ জোশীকে ইন্দিরা গান্ধী ন্যাশনাল সেন্টার ফর আর্টসের সচিব নিয়োগ করা হয়েছে।