একের পর এক রাজ্যে ভরাডুবির পর ঘুরে দাঁড়াতে এবার রাজস্থানের ভোটের প্রস্তুতি শুরুর পথে কংগ্রেস। বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট, নাকি নতুন কোনও মুখ সামনে রেখে ভোটের ময়দানে যাওয়া হবে আগামী মাসে সেই সিদ্ধান্তও চূড়ান্ত হবে। সে ক্ষেত্রে সচিন পাইলটকে মুখ্যমন্ত্রী ‘মুখ’ করা হতে পারে বলে সূত্রের খবর।
প্রসঙ্গত, সাম্প্রতিক কালে একের পর এক রাজ্যের ভোটে ভরাডুবি হয়েছে হাত শিবিরের। হাতছাড়া হয়েছে পাঞ্জাব। হারতে হয়েছে উত্তরাখণ্ড ও মেঘালয়ে। উত্তরপ্রদেশে প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে মুখ করে লড়লেও মানুষের মনে প্রভাব ফেলতে ব্যর্থ দল। ব্যর্থতার জন্য বেশ কয়েকটি কারণকে চিহ্নিত করেছে এআইসিসি। উদয়পুরের চিন্তন শিবিরের আলোচনায় ব্যর্থতার অন্যতম কারণ হিসাবে অর্থিক সংকটকে দায়ী করা হয়েছে। অতীতে কোনও রাজ্যে নির্বাচন হলে এআইসিসির তরফে যেভাবে আর্থিক সাহায্য করা হতো এখন তার সিকি ভাগও সম্ভব হচ্ছে না। এমনকী, যে রাজ্যে দল ক্ষমতায় নেই সেখানেও প্রদেশ কংগ্রেস চরম আর্থিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এমনভাবে চললে চলতি বছরে রাজস্থান, হিমাচল, গুজরাতের ভোটেও ভরাডুবি হবে বলেই ধারণা এআইসিসির একাংশের।
পরিস্থিতি সামাল দিতে তাই বামেদের দিকে হাঁটার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বামপন্থী পার্টির মতো সর্বক্ষণের কর্মী নয়, বরং রোজগেরে নেতাদের কাছ থেকে মাসিক লেভি নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন এআইসিসির এক শীর্ষনেতা। তিনি জানান, দলের প্রত্যেক নেতাকর্মীকে আয়কর জমা দিতে হয়। সেই ফাইল এআইসিসি দফতরে জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। অন্যদিকে, রাজস্থানে ক্ষমতা ধরে রাখতে মরিয়া হয়ে ঝাঁপানোর সিদ্ধান্ত কংগ্রেসের। উদয়পুরের চিন্তন শিবিরে বিষয়টি নিয়ে সোনিয়া, রাহুল ও প্রিয়ঙ্কা গান্ধীর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট ও সচিন পাইলটদের বিস্তর আলোচনা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী পদ নিয়ে গত ভোটেই গেহলট ও পাইলটের কোন্দল রাস্তায় নেমে আসে। এবার সতর্ক হয়ে চলতে চাইছেন সোনিয়ারা। ভোটের আগেই মুখ্যমন্ত্রী মুখ ঘোষণা করা হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন এআইসিসির ওই শীর্ষনেতা।