২৩ জুন দেশের ছয় রাজ্যের তিন লোকসভা এবং সাত বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন। এর মধ্যে ত্রিপুরার চার বিধানসভা আসনে ভোটগ্রহণ। যেখানে লড়াই করবেন ত্রিপুরার নয়া মুখ্যমন্ত্রী ডা. মানিক সাহা। বিপ্লব দেবের পরিবর্তে তাঁকে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসিয়েছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। সাংবিধানিক নিয়ম মেনে, ৬ মাসের মধ্যে যে কোনও বিধানসভা আসন তাঁকে জিতে আসতে হবে। যা ত্রিপুরার সাম্প্রতিক রাজনীতিতে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। তবে কোন আসন থেকে তিনি ভোটে লড়বেন, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
২৩ জুন ভোটগ্রহণ। গণনা ও ফলপ্রকাশ ২৬ জুন। ত্রিপুরার আগরতলা, শহর বরদওয়ালি, সুরমা এবং যুবরাজনগর বিধানসভা আসনে উপনির্বাচন রয়েছে। এছাড়া পাঞ্জাবের সাঙ্গুর লোকসভা কেন্দ্র, উত্তরপ্রদেশের রামপুর ও আজমগড় লোকসভা কেন্দ্র, অন্ধ্রপ্রদেশের আতমাকুর বিধানসভা কেন্দ্র, দিল্লির রাজিন্দরনগর বিধানসভা কেন্দ্র এবং ঝাড়খণ্ডের মন্দার বিধানসভা কেন্দ্রের ভোট রয়েছে।
সমাজবাদী পার্টি সুপ্রিমো অখিলেশ যাদবআজমগড় থেকে এবং দলের আরেক প্রতিষ্ঠাতা-নেতা আজম খান রামপুর লোকসভা কেন্দ্রের প্রতিনিধি ছিলেন। কিন্তু দু’জনেই গত বিধানসভা নির্বাচনে জয়ের পর সাংসদ পদ ছেড়ে দেন। এরফলে শূন্য দুই আসনে নির্বাচন হবে। সূত্রের খবর, আজমগড় কেন্দ্রে অখিলেশ পত্নী ডিম্পল যাদবকে প্রার্থী করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সমাজবাদী পার্টি।
প্রসঙ্গত, এবার রাজনৈতিক মহলের নজর থাকবে ত্রিপুরার বিধানসভা আসনগুলির ফলাফলের দিকে। কারণ বছর ঘুরলেই সে রাজ্যে বিধানসভা ভোট। সেই নির্বাচনের আগে এটা কার্যত সেমি ফাইনাল ধরে নিচ্ছে রাজনৈতিক মহল। এদিকে বিজেপির অন্দরের সমীক্ষা বলছে, এখনই ত্রিপুরার নির্বাচন হলে বিজেপি জিতবে ১২ আসন। এমন পরিস্থিতিতে ক’টা আসনে জয় পাবে গেরুয়া শিবির, সেদিকেই তাকিয়ে গোটা দেশ।