দিলীপ-বিজেপি সমীকরণ নিয়ে সরগরম রাজনৈতিক মহল। এখন থেকে বাংলার বাইরের আট রাজ্যের সাংগঠনিক দায়িত্ব সামলাতে হবে দিলীপকে। এটা রাজনৈতিক পদোন্নতি নাকি শাস্তি? উঠছে প্রশ্ন। দিলীপের এই দায়িত্ব লাভ আদৌ কি রাজনৈতিক উত্তরণ? না কি কৌশলে বাংলা থেকে সরিয়ে দেওয়া হল দিলীপকে? তা নিয়ে ক্রমশ জোরালো হচ্ছে জল্পনা। বিজেপির বাংলা জয় অধরা। বাংলায় বিজেপির পরাজয়ের মাশুল দিতে হয়েছিল দিলীপকেই। মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই দিলীপকে রাজ্য সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। ২০২১-এর সেপ্টেম্বরে সর্বভারতীয় সহসভাপতি করা হলেও, তাকে নির্দিষ্ট কোনও দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। ক্রমশই বাড়ছিল বঙ্গ বিজেপির সঙ্গে তাঁর দূরত্ব।
উল্লেখ্য, এর মধ্যেই বিজেপির বর্তমান রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সম্পর্কে বিভিন্ন বিতর্কিত মন্তব্য করে বিতর্কে জড়িয়েছেন দিলীপ। এ নিয়ে রাজ্য বিজেপির নেতারা বিভিন্ন সময়ে দফায় দফায় কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে তার নামে নালিশ করেছে, তেমনই জেপি নাড্ডা, অমিত শাহেরাও দিলীপকে নিয়ে অসন্তুষ্ট ছিলেন। মে মাসের গোড়ায় রাজ্যে আসেন শাহ, রাজ্যের প্রধান নেতাদের নিয়ে বৈঠকও করেন। যদিও সেখানে ডাক পাননি দিলীপ। তাতেই স্পষ্ট হয়ে যায় দিল্লীর নেতাদের কাছে দিলীপ গুরুত্ব হারাচ্ছেন। এরপরেই মে মাসের শেষ এসে বাংলা থেকে সরে যেতে হচ্ছে দিলীপ ঘোষকে। তবে কি কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে রুষ্ট করলেন প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি? তার জেরেই বাংলা ছাড়তে হল তাঁকে? অব্যাহত জল্পনা।