দার্জিলিংয়ের পুরসভা ভোটের পর পাহাড়ের সব রাজনৈতিক দলই নিজের নিজের শক্তি মেপে নিয়েছে। এবার পাহাড়ে জিটিএ নির্বাচনের পালা। জুন মাসেই ভোট, তাই প্রশাসনিক স্তরেও শুরু হয়ে গিয়েছে এই নির্বাচন করানোর জন্য তৎপরতা। প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে, রাজ্য নির্বাচন কমিশনের সাথে বৈঠকের পরে সিদ্ধান্ত হয়েছে আগামী জুন মাসে হবে ভোট। এর পাশাপাশি আগামী জুন মাসেই শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের নির্বাচনের পাশাপাশি পাহাড়ে বাকি থাকা তিন পুরসভার ভোট করানোরও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে৷ গত এপ্রিল মাসে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই জানিয়েছিলেন শীঘ্রই পাহাড়ে জিটিএ নির্বাচন হবে। পাহাড়ে এই মুহূর্তে শুধু পঞ্চায়েত সমিতি ও গ্রাম পঞ্চায়েতের দু’টি স্তর আছে। সংশোধনী এনে সেখানে জেলা পরিষদ গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হতে পারে।
অন্যদিকে, পাহাড়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনের দাবি দীর্ঘ দিনের। জিটিএ-র পর গোটা রাজ্যের সঙ্গে সেই ভোট পর্বও মিটিয়ে ফেলতে চাইছে রাজ্য সরকার। গত ২৬ অক্টোবর কার্শিয়াং সফরে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী পাহাড় সমস্যার চিরকালীন সমাধানের কথা বলেছিলেন। সমস্ত দলকে একজোট হতে বলেছিলেন। কমিটি গড়েছিলেন। যাতে পাহাড়ের যাবতীয় প্রয়োজনীয় ইস্যু নিয়ে আলোচনা হতে পারে। এই নিয়ে গত এপ্রিল মাসে আলাদা আলাদা করে কথা হয়েছে অনীত থাপা-বিমল গুরুং-রোশন গিরিদের সঙ্গে। এদিকে, ইতিমধ্যেই বিনয় তামাং যোগ দিয়েছেন তৃণমূলে। আর পাহাড়ের নতুন আঞ্চলিক দল হিসেবে উঠে এসেছে হামরো পার্টি। ফলে পাহাড়ে পঞ্চায়েত ভোটকে গুরুত্ব দিয়ে দেখার কথা ভাবা হচ্ছে। প্রশাসনিক এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে পাহাড়ের সব আঞ্চলিক দল।
