একুশের ভোটে ভরাডুবির পরই দলের রাজ্য সভাপতির পদ গিয়েছিল তাঁর। বাংলা থেকে সরিয়ে তাঁকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল সর্বভারতীয় সহ-সভাপতির। এবার রাজ্য রাজনীতি থেকে আরও দূরত্ব বেড়ে গেল দিলীপ ঘোষের। বাংলার বদলে এবার অন্য আট রাজ্যের সাংগঠনিক দায়িত্ব সামলাতে হবে তাঁকে। তবে দিলীপের এই দায়িত্ববৃদ্ধি রাজনৈতিক উত্থান না কি বাংলা থেকে অপসারণ তা নিয়ে জল্পনা রয়েছে বঙ্গ বিজেপিতে।
গেরুয়া শিবির সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের লক্ষ্যে গোটা দেশেই ‘বুথ সশক্তিকরণ অভিযান’ শুরু করছে বিজেপি। আর সেই কর্মসূচিতেই বিহার, ঝাড়খণ্ড, উড়িষ্যা, আন্দামান ও উত্তর-পূর্বের চার রাজ্য মণিপুর, মেঘালয়, আসাম, ত্রিপুরার সংগঠন বৃদ্ধির দায়িত্ব দিলীপকে দেওয়া হয়েছে বলে বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে।
প্রসঙ্গত, একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বাংলায় আশানুরূপ ফল হয়নি বিজেপির। তার পরে মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই আচমকা দিলীপকে রাজ্য সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরেই তাঁকে সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি করা হয়। কিন্তু তার পরেও নির্দিষ্ট করে কোনও দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। বাংলাতে তো নয়ই, দেশের অন্য কোনও রাজ্যেও নয়। দীর্ঘ সময় দিলীপ নিজের মতো করে রাজ্যে কাজ করেছেন।
তবে ক্রমশই তাঁর সঙ্গে রাজ্য নেতৃত্বের দূরত্ব বাড়ছিল। রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের অভিজ্ঞতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে কিংবা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সম্পর্কে তাঁর করা বিভিন্ন মন্তব্য থেকে বিতর্কও তৈরি হয়। এ নিয়ে রাজ্য থেকে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব তাঁর উপর যথেষ্ট অসন্তুষ্ট ছিলেন। মে মাসের গোড়ায় রাজ্যে এসে শাহ রাজ্যের প্রধান নেতাদের নিয়ে যে বৈঠক করেন তাতেও দিলীপকে ডাকেননি। এবার দিলীপকে আট রাজ্যের সাংগঠনিক দায়িত্ব দেওয়াকে অনেকেই তাঁকে রাজ্য থেকে সরিয়ে দেওয়া বলে ব্যাখ্যা করছেন।