এসএসসিতে শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে এই মুহূর্তে মামলা চলছে আদালতে। এর পাশাপাশি, রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীকেও জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিবিআই। ইতিমধ্যেই পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। স্কুলের শিক্ষকতা করে যে পরিমাণ বেতন তিনি পেয়েছেন তা দুই কিস্তিতে জমা দেওয়ার নির্দেশও দিয়েছে আদালত। এই রায়ের পরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোলিংয়ের শিকার হতে হয় অঙ্কিতার ভাই হীরক জ্যোতি অধিকারীকেও। পেশায় চিকিৎসক এই মন্ত্রিপুত্রই হয়ে যান ‘সফট টার্গেট’। ধেয়ে আসছে একের পর এক মন্তব্য। কিন্তু, সেসবে কান দিচ্ছেন না মন্ত্রিপুত্র। তিনি ব্যস্ত মানুষের সেবায়।
প্রসঙ্গত, এসএসতিতে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ে কার্যত আলোড়ন পড়ে যায়। কারণ সাম্প্রতিক সময়ে চাকরি থেকে বরখাস্ত এবং বেতন ফেরানোর নির্দেশ কার্যত নজিরবিহীন। এরপর থেকেই নেটপাড়ার বাসিন্দারা অঙ্কিতার ভাই হীরক জ্যোতি অধিকারীর শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন তুলতে শুরু করেন। যদিও, জলপাইগুড়ি জেলা স্কুল থেকে মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিক পাশ করেন তিনি। এরপর তিনি এমবিবিএস ডিগ্রি অর্জন করেন। বর্তমানে তিনি কোচবিহারের চ্যাংরাবান্ধা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের মেডিক্যাল অফিসার। ঘটনার পর থেকে তাঁর ঘনিষ্ঠমহল সূত্রে খবর, পরিবারের দুঃসময়েও নিজের পেশাগত দায়িত্ব সেরেছেন মনযোগ দিয়েই। সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে তাঁর সংক্ষিপ্ত উত্তর, ‘রোগী নিয়ে আমি ব্যস্ত। পরে কথা হবে।’
