প্রবীণ নাগরিকদের জন্য আশার আভাস দিয়েও শেষ পর্যন্ত নিজেদের সিদ্ধান্তে অটল রইল মোদী সরকার। যা নিয়ে তৈরি হয়েছে ক্ষোভ। করোনার আগে দেশে ৬০ বছরের বেশি বয়সের পুরুষ যাত্রী টিকিটের দামে ৪০ শতাংশ ছাড় পেতেন। কিন্তু করোনার সময়ে প্রবীণ নাগরিকদের জন্য এই বিশেষ ছাড় দেওয়া বন্ধ করেছিল রেল। তা ফের ফিরিয়ে আনা হতে পারে বলে শুরু হয়েছিল একটি জল্পনা। কিন্তু কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব শেষমেশ জানালেন, এমন কোনো সম্ভাবনাই নেই। করোনাকালে ভারতীয় রেল যাত্রীদের টিকিটের ক্ষেত্রে অধিকাংশ ছাড় তুলে দিয়েছে। প্রবীণ যাত্রীদের ছাড়েও পড়েছে কোপ। গত দু’বছরে দূরপাল্লার ট্রেনের সংরক্ষিত টিকিটে বয়স্কদের ছাড় তুলে দিয়েই প্রায় ১৫০০ কোটি টাকা বাড়তি আয় করেছে রেল।
প্রসঙ্গত, অতিমারীকাল পেরিয়ে গত নভেম্বরে সারা দেশে ফের দূরপাল্লার ট্রেন পরিষেবা শুরু হয়েছে। প্রবীণদের টিকিটে ছাড় ফিরিয়ে আনার দাবি উঠলেও রেল কোনরকম সাড়া দেয়নি। সম্প্রতি এক আরটিআই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে রেল জানিয়েছে, অতিমারী চলাকালীন দূরপাল্লার ট্রেনে সংরক্ষিত শ্রেণিতে সফর করা ৭.৩১ কোটি প্রবীণ যাত্রীকে তাঁদের টিকিটে ছাড় দেয়নি রেল। তার মধ্যে চার কোটি ছেচল্লিশ লক্ষই পুরুষ যাত্রী। ৬০ তার থেকে বেশি বয়সের প্রবীণ পুরুষ নাগরিকেরা রেলের টিকিটে ৪০ শতাংশ ছাড় পেতেন। আর ৫৮ বা তার থেকে বেশি বয়সের মহিলারা টিকিটে ৫০ শতাংশ ছাড় পেতেন। অতিমারীর পরে প্রায় ২ কোটি ৮৪ লক্ষ মহিলা ছাড় পাননি। প্রবীণ পুরুষ যাত্রীদের ছাড় বাতিল করে রেলের আয় হয়েছে ২০৮২ কোটি টাকা। প্রবীণ মহিলা যাত্রীদের ক্ষেত্রে ওই আয়ের পরিমাণ ১৩৮১ কোটি টাকা। এমনই জানিয়েছে রেল। যা জেরেই প্রবল সমালোচনার মুখে মোদী সরকার। ক্ষুব্ধ প্রবীণ যাত্রীরা।