সমস্ত জল্পনায় জল ঢেলে দিয়ে গত মাসের শেষেই প্রশান্ত কিশোর জানিয়ে দিয়েছিলেন, কংগ্রেসে যোগ দিচ্ছেন না তিনি। টুইট করে কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীপ সিং সুরজেওয়ালাও জানিয়েছিলেন, দলের সঙ্গে পিকের আলোচনা ফলপ্রসূ হয়নি। এবার পিকে চ্যাপ্টার ক্লোজ করে ২০২৪-এর লক্ষ্যে ঝাঁপাতে টাস্ক ফোর্সে একদা পিকে-সহযোগী সুনীল কানুগোলুকে নিয়ে এল কংগ্রেস। মঙ্গলবার কংগ্রেস সভানেত্রী ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনের রণকৌশল নির্ধারণে একটি টাস্ক ফোর্স গড়েছেন। পি চিদম্বরম, মুকুল ওয়াসনিক, জয়রাম রমেশ, কে সি ভেনুগোপাল, অজয় মাকেন, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢরা, রণদীপ সিং সুরজেওয়ালাদের সঙ্গে সেই টাস্ক ফোর্সে রয়েছেন ভোটকুশলী সুনীল কানুগোলু।
বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কংগ্রেসকেই শক্তিশালী মঞ্চ হিসেবে মেনে নিয়ে পরিকল্পনা সাজাচ্ছিলেন পিকে। কংগ্রেসের সঙ্গে যুক্ত হয়েই সেই কাজ করতে চেয়েছিলেন তিনি। তবে কংগ্রেসে যোগ দিলে তাঁকে ‘ফ্রি-হ্যান্ড’ দেওয়ার আবদার জোড়েন পিকে। প্রশান্ত কিশোরের এই আবদারেই যাবতীয় আপত্তি ছিল সোনিয়া-রাহুলদের। শেষমেশ সেই কারণেই কংগ্রেস সখ্যতা আর বাড়েনি পিকে-র। প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে কংগ্রেসের সঙ্গে সম্পর্ক চ্ছিন্ন হওয়ার কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই প্রাচীন এই দলে এন্ট্রি হয় কানুগোলুর। একটা সময়ে প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে জুটি বেঁধে নির্বাচনী রণকৌশল নির্ধারণ করেছেন এই কানুগোলু।
তবে পিকের চেয়ে বরাবরই লো প্রোফাইল মেইন্টেন করায় বিশ্বাসী তিনি। কখনও সেভাবে প্রচারের আলোয় আসেননি যেমন, তেমনি সোশ্যাল মিডিয়াতেও তাঁর উপস্থিতি চোখে পড়ে না। এহেন সুনীল কানুগোলুই এবার বাজি কংগ্রেসের। তিনি কি কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন? এ প্রশ্নের উত্তরে সুরজেওয়ালা জানিয়েছেন, ‘হ্যাঁ, তিনি কংগ্রেসের একজন সদস্য।’ ২০১৪-এর লোকসভা নির্বাচনে অবশ্য পিকে এই কানুগোলুকে সঙ্গে নিয়েই বিজেপির জন্য কাজ করেছিলেন। তবে তারপর আর পিকে-র সঙ্গে কাজ করতে দেখা যায়নি কানুগোলুকে। জানা গিয়েছে, কর্নাটকে আগামী বছরের নির্বাচনের জন্য ইতিমধ্যেই ভোট স্ট্র্যাটেজিস্ট হিসেবে কংগ্রেস নিয়োগ করেছে এই কানুগোলুকে। কানুগোলুর সংস্থা মাইন্ডশেয়ার অ্যানালিটিক্সের ইনপুট মেনেই দক্ষিণের এই রাজ্যে এগোচ্ছে কংগ্রেস।