নন্দীগ্রামে বিজেপির অন্দরে ক্ষোভ বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। তবে গেরুয়া শিবিরের স্থানীয় নেতৃত্বের বক্তব্য, আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান হয়েছে। বিজেপির অন্দরে ক্ষোভ-বিক্ষোভ নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়ছে না তৃণমূল। নন্দীগ্রামে শুভেন্দুর একনায়কতন্ত্র বিজেপি কর্মীরা মানতে পারছেন না বলে আক্রমণ করলেন তৃণমূল নেতা তথা রাজ্যের মন্ত্রী অখিল গিরি।
বিজেপির তরফে জেলা ও মণ্ডল নেতৃত্বের যে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে খুশি নন গেরুয়া শিবিরের নন্দীগ্রাম ১ দক্ষিণ মণ্ডলের কর্মীরা। নন্দীগ্রাম ১ দক্ষিণ মণ্ডলের সভাপতির পদ থেকে সরানো হয়েছে জয়দেব দাসকে। যা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তাঁর অনুগামীরা। তাঁদের বক্তব্য, ‘জয়দেব দাস একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পূর্বে সফলভাবে দায়িত্ব সামলেছেন। তা সত্ত্বেও জেলা ও রাজ্য নেতৃত্ব সঠিক বিচার না করেই তাঁকে পাশের বিধানসভা কেন্দ্রের অবজার্ভার করে দেন। তা আমরা মানব না। দল যদি কথা না শোনে তা হলে আমরা ইস্তফা দিতে বাধ্য হব’।
তাঁকে পদ থেকে সরানো নিয়ে জয়দেব দাস বলেন, ‘নন্দীগ্রাম ১ দক্ষিণ মণ্ডলের সভাপতির দায়িত্ব সামলেছি বিগত তিন বছর ধরে। গুটিকয়েক জেলা নেতার অঙ্গুলিহেলনে এই সিদ্ধান্ত। কিন্তু সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে একবারও জানতে চাওয়া হয়নি আমাদের বা কর্মীদের থেকে। স্বাভাবিক ভাবে এই নিয়ে তীব্র ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। দল যদি চিন্তা না করে তাতে আমরা সবাই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হব। আশা করি দল ভাববে আমাদের কথা। কারণ মোদীজীর আদর্শে আমরা অনুপ্রাণিত। তাই ভালবেসেই ভারতীয় জনতা পার্টি করি’।
বিজেপির অন্দরে ক্ষোভ নিয়ে শুভেন্দুকে আক্রমণ করলেন তৃণমূল নেতা তথা রাজ্যের মন্ত্রী অখিল গিরি। তিনি বলেন, ‘একাধিক জেলায় বিজেপির অসন্তোষ অব্যাহত। এই তো সেদিন বিজেপির সাংসদ আমাদের দলে যোগদান করলেন। আমরা কাউকে বলছি না আসতে। তাঁরা নিজেরাই আসার জন্য আবেদন করেছেন। মূলত বিজেপির মণ্ডল চালানোর লোক নেই। শুভেন্দুর দল চালানোর নীতিতেই বিজেপি ছাড়তে চাইছেন অনেকেই। তৃণমূলে যখন ছিল, তখন যেমন এখন ওখানেও তেমনি রয়েছে। একনায়কতন্ত্রে বিশ্বাসী। সেই কারণেই এই সমস্যা। আমাদের জেলা-সহ একাধিক জেলায় বিজেপির লোক আসার জন্য মুখিয়ে আছে। যদি তেমন কেউ আসতে চায় তা হলে জেলা কমিটিতে আবেদন করতে হবে। পরে রাজ্যের মঞ্জুরি পেলেই নেওয়া হবে’।