পাট শিল্পের রুগ্নদশা, তার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের ভূমিকা ইত্যাদি নিয়ে বাংলায় সাম্প্রতিক রাজনীতিতে মন্থন চলেছে। সৌজন্যে বিজেপি থেকে সদ্য তৃণমূলে ফেরা সাংসদ অর্জুন সিং। বিজেপির সাংসদ হয়েও নরেন্দ্র মোদী সরকারের বিরুদ্ধে অর্জুন যে ভাবে রণংদেহি হয়ে উঠেছিলেন তার নেপথ্যে ছিল এই পাট শিল্প। এবার এই সংক্রান্ত একটি জনস্বার্থ মামলার পর্যবেক্ষণে তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করল কলকাতা হাইকোর্ট।
আদালত স্পষ্ট করে বলেছে, পাট শিল্প শুধু বাংলা নয়, গোটা ভারতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই এই শিল্পের কী ভাবে পুনরুজ্জীবন ঘটানো যায় সেদিকে নজর দিতে হবে সবাইকে। এর জন্য যা যা পদক্ষেপ প্রয়োজন তা-ই করতে হবে বলে মন্তব্য করেছে হাইকোর্ট।
জুট মিল অ্যাসোসিয়েশন, পাটের দাম নিয়ে একটি মামলা দায়ের করেছিল কলকাতা হাইকোর্টে। এদিন বিচারপতি অমৃতা সিনহার সিঙ্গেল বেঞ্চে সেই মামলার শুনানি হয়। সেই শুনানির সময় বিচারপতি পাট শিল্পের ভবিষ্যত নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। বলেন, ‘পাট শিল্পের সঙ্গে যুক্ত সব পক্ষকে একটি সামগ্রিক পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে। এটি বাংলার গর্বের শিল্প। পাট শিল্পকে পুনরুজ্জীবিত করার উপায় বের করতে হবে। এটি কঠিন কাজ। কিন্তু সবাই মিলে এই কাজে ঝাঁপিয়ে পড়া প্রয়োজন’।
এই কাজে জুট কমিশনকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। জুট কমিশনের প্রস্তাবিত একটি বিজ্ঞপ্তিকে চ্যালেঞ্জ করেই কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছিল জুট মিল অ্যাসোসিয়েশন। সেই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল, কাঁচা পাটের দাম এক কুইন্টালে সাড়ে ৬ হাজার টাকা ধার্য করা হয়েছে। জুট মিল অ্যাসোসিয়েশনের বক্তব্য, যা মাত্রারিক্ত। এই মূল্য দিয়ে কাঁচা মাল কিনতে গেলে ব্যবসা লাটে উঠে যাবে।