রাজ্য সরকার নিয়োগ করতে চলেছে ২ হাজার কনস্টেবল। নবান্ন থেকে সোমবার সাংবাদিক বৈঠকে এই ঘোষণা করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানিয়েছেন, এই নিয়োগের মধ্যে ১৪২০ জনকে দেওয়া হবে উইনার্স স্কোয়াডে, ৬০০ জনকে পাঠানো হবে গোয়েন্দা বিভাগে। এ ছাড়াও জঙ্গলমহলের ১০৫ জনকে স্পেশাল হোমগার্ড পদে নিয়োগের ছাড়পত্র দিয়েছে রাজ্য সরকার। এর মধ্যে রয়েছেন ৪৮ জন প্রাক্তন মাওবাদী, বাকিরা হলেন মাওবাদী সদস্যদের পরিবারের কোনও সদস্য।
পাশাপাশি নবান্ন সূত্রে খবর পাওয়া গিয়েছে, বৃহস্পতিবার ফের রাজ্যে মন্ত্রিসভার বৈঠক বসতে চলেছে। দুপুর তিনটের সময় রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠক ডাকা হল সোমবারই। এর ফলে একই সপ্তাহে দুবার রাজ্য মন্ত্রিসভা বৈঠক বসতে চলেছে। সোমবার বিকেলে এই তথ্য জানিয়ে দেওয়া হয়েছে রাজ্যের মন্ত্রিসভার সদস্যদের।
সোমবার নবান্ন থেকে সাংবাদিক বৈঠক করে কেন্দ্রকে তীব্র আক্রমণ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর অভিযোগ, কার্যত তুঘলকি কায়দায় শাসন চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। তিনি অভিযোগ করে বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার আমাদের প্রাপ্য টাকা দিচ্ছে না। তুঘলকি শাসন চালাচ্ছে। সব কিছুতে কেন্দ্রীয় সরকার নাক গলাচ্ছে। এত নিকৃষ্ট শাসক আর কোনওদিনও আসেনি। হিটলার, মুসোলিনি, স্ট্যালিনের থেকেও এরা খারাপ। পাশাপাশি তিনি ফের কেন্দ্রীয় এজেন্সির ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। তিনি বলেন, এজেন্সিকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করছে কেন্দ্র। যদিও তিনি পাশাপাশি উল্লেখ করেন, সব এজেন্সি খারাপ নয়, কিন্তু তাকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করা হচ্ছে।
পাশাপাশি, এ দিন নবান্ন থেকে এক নতুন দাবির কথা ঘোষণা করেন মমতা। তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলির স্বায়ত্তশাসন পাওয়া দরকার। অর্থাৎ নিরপেক্ষ ভাবে কাজ করার জন্য এই পরিকাঠামো গত স্বাধীনতা এজেন্সির একান্ত প্রয়োজন বলে তিনি মনে করেন। এ ভাবে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো ভেঙে ফেলছে কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় এজেন্সি ঠিক করে কাজ করতে পারছে না। কারণ দুজনের অঙ্গুলি হেলনে তাদের কাজ করতে হচ্ছে। তাই কেন্দ্রীয় এজেন্সির স্বায়ত্তশাসন প্রয়োজন।