বিগত কিছু দিন ধরেই বেসুরো তিনি। এই মুহূর্তে এনডিএ-র সবথেকে বড় শরিক হলেও সাম্প্রতিক কালে বারবারই বিজেপির সঙ্গে তাঁর দলের মতানৈক্য সামনে এসেছে। আরজেডি-সখ্য থেকে শুরু করে তাঁর জাতশুমারি নিয়ে অবস্থান গেরুয়া শিবিরকে অস্বস্তিতে ফেলেছে। এবার আরও আগ্রাসী ভূমিকা নিতে চলেছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার। এক দিকে শীঘ্রই জাতশুমারির কাজ শুরুর ইঙ্গিত, অন্য দিকে রাজ্যসভার সদস্য এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রামচন্দ্র প্রসাদ সিংহকে ফের সংসদের উচ্চকক্ষে টিকিট না-ও দিতে পারেন নীতীশ। তাঁর এক সময়ের ঘনিষ্ঠ সহযোগী রামচন্দ্রের বিজেপি ঘনিষ্ঠতাই এক সময়ে তাঁর শক্তি বলে বিবেচিত হত। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে সেই নৈকট্যেরই মূল্য চোকাতে হতে পারে রাজ্যসভার এই নেতাকে। সে ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা থেকেও সরে যেতে হবে তাঁকে।
নীতিশ ইঙ্গিত দিয়েছেন, তাঁর সরকার শীঘ্রই বিহারে জাতশুমারির কাজ শুরু করবে। জেডিইউ প্রধানের কথায়, ‘জাতশুমারির ক্ষেত্রে সকলের মতামত নেওয়ার জন্য সর্বদল বৈঠক ডাকা হয়েছে। ইতিমধ্যেই কয়েকটি দলের সঙ্গে কথা হয়েছে। বাকিদের সম্মতি পেলেই ২৭ তারিখ সেই বৈঠক হতে পারে। সেখানে যে সিদ্ধান্ত হবে তা প্রস্তাব আকারে রাজ্য মন্ত্রিসভায় তোলা হবে। এবং কাজ শুরু হবে।’ উল্লেখ্য, সম্প্রতি লালুপ্রসাদের বাড়িতে সিবিআই তল্লাশির ঘটনায় আশ্চর্য রকম ভাবে নির্লিপ্ত ছিলেন নীতিশ। কিছু দিন আগে লালু তনয় তেজস্বী যাদবের আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে ইফতার পার্টিতেও যোগ দিয়েছিলেন। তার পরে জাতিগণনা নিয়ে তেজস্বীর সঙ্গে নীতিশের আলোচনাও এনডিএ জোটের বড় শরিক বিজেপির উদ্বেগ বাড়িয়েছে।
